ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আফ্রিকার সহযোগিতা চাইলেন মোদি

প্রকাশিত: ০২:২৩, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আফ্রিকার সহযোগিতা চাইলেন মোদি

অনলাইন ডেস্ক ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আফ্রিকাকে ভারতের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নয়া দিল্লীতে শুরু হওয়া ইন্ডিয়া আফ্রিকা ফোরাম সামিটে এ আহ্বান জানান তিনি। সম্মেলনে অংশ নেয়া আফ্রিকার ৫৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এসময় বিশ্ব অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের বর্তমান অবস্থা বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। ২০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য নিয়ে বর্তমানে চীন আফ্রিকার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ হলেও ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও বেশ ইতিবাচক। আর চীনের অর্থনীতির সাম্প্রতিক ধীরগতির কারণে দেশটির সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আফ্রিকা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আফ্রিকার সাথে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক এ সম্পর্ককে আরো জোরদার করতেই ভারতে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো জমকালো ইন্ডিয়া আফ্রিকা ফোরাম সামিট। সম্পর্ক জোরদারে গত দু'দশকের মধ্যে এ সম্মেলনটিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে। তাই আফ্রিকাকে বিশেষ সুবিধায় আগামী ৫ বছরের জন্য ১ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আফ্রিকাকে ভারতের সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আফ্রিকা আর ভারত জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে ভীষণ সতর্ক। তাই ২০২২ সাল নাগাদ অতিরিক্ত ১৭৫ গিগাবাইট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জন্য কাজ করছি। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সাশ্রয় ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।' কৃষিভিত্তিক উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর কৃষিখাত উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি। আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রফতানিতে আগ্রহী ভারত। তবে পুনর্গঠনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক যেকোন উন্নয়ন সংস্থার কাছে দু'দেশকে সমস্বরে প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তা বিষয়ক সবকিছু এখন পরিবর্তনশীল। কিন্তু জাতিসংঘের মত অন্যান্য সংস্থাগুলোর এখন পুনর্গঠন প্রয়োজন। কারণ আমাদের অবস্থাটা এসব সংস্থায় প্রতিফলিত হয় না।' দু'দিনের এ সম্মেলনটি ৩০'শে অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
×