ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে গ্রামীন যাত্রাপালা মরমী বধু প্রদর্শন হয়েছে

প্রকাশিত: ২১:২৭, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

ঝালকাঠিতে গ্রামীন যাত্রাপালা মরমী বধু প্রদর্শন হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি॥ চিরায়ত বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্প যাত্রাপালা বাচিয়ে রাখার জন্য ঝালকাঠিতে ২ দিন ব্যাপি যাত্রা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলী স্কুল মাঠে বুধবার রাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৌকাডুবি উপন্যাসের আদোলে চন্ডিচরণ ব্যানার্জির রচিত মরমী বধু যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই গ্রামের সাংস্কৃতিক মনা ব্যাক্তিরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে এই যাত্রাপালা প্রদর্শন করেছে। গ্রামের মানুষের সহায়তায় এই যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছে। যাত্রাপালা উপলক্ষে কোন অশ্লীন নাচ বা যাত্রাপালাকে আশেপাশে কোন ধরনের জুয়ার আসর বসেনি। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের কয়েক হাজার মানুষ এক সময়ের হারিয়ে যাওয়া নির্মল যাত্রাপালা উপভোগ করেছে। যাত্রাপালাটির কাহিনী ছিল সাবিত্রী ও রজত বিয়ে করে বাড়ী ফেরার পথে পদ্মায় নৌকাডুবি হয়। নৌকাডুবিতে স্বামী স্ত্রী দু-জনেই বেচে যায়। তবে সাবিত্রী অন্য এলাকায় চরে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় এবং এই এলাকার প্রশান্ত নামের এক ব্যাক্তির স্ত্রী পরিচয়ে থাকেন। কিছুদিন পরে সাবিত্রী জানতে পারে প্রশান্ত তার প্রকৃত স্বামী নয়। মনকষ্টে সে প্রশান্তর বাড়ী থেকে চলে যায়। পথিমধ্যে সাবিত্রী গুন্ডাদের কবলে পরে এবং তখন এক পুলিশ অফিসার তাকে উদ্ধার করে তার স্বামী রজতে বাড়ীতে কাজের লোক হিসেবে রেখে দেয়। রজত পুনরায় বিয়ের আয়োজন করছিল। এই সময়েই রজতে পুরানো বন্ধু প্রশান্ত সাবিত্রীর পরিচয়ে দেয়। সাবিত্রীর সাথে রজতের আবার বিয়ে হয় এবং সাবিত্রীর দাদা হয়ে পুলিশ অফিসার ও গুন্ডা দু জনেই তাকে সম্প্রদান করেন। এই নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে এই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও শিক্ষক ভবেন্দ্রনাথ হালদার, কিশোর রায়, সঞ্জিব দারি, ঝুমা দেবী, শুরবালা, গোলাপী দেবী ও শিউলী রানী ও পংকজ কুমার মন্ডল অভিনয় করেছেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভবেন্দ্রনাথ হালদার এবং একই গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শিল্পি পংকজ কুমার মন্ডল যাত্রা শিল্পের অবস্থা সম্পার্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
×