ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রখ্যাত আইনজীবী সিরাজুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রখ্যাত আইনজীবী সিরাজুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রখ্যাত ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বুধবার। এ উপলক্ষে ঢাকা ও ব্রাহ্মহ্মহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বনানীর কবরস্থানে মরহুমের পুত্র আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হকসহ পরিবারের সদস্য, শুভাকাক্সক্ষী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া আয়োজন করা হয় কোরানখানির। পবিত্র আশুরার দিনে আয়োজন করা হয় কাঙ্গালী ভোজের। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৪ অক্টোবর পবিত্র আশুরার দিন আমরা এতিমদের খাইয়েছি। এছাড়া বুধবার সকালে পবিত্র কোরান খতম দেয়া হয়েছে এবং আমরা বনানী কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করেছি। এদিকে, এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচী পালন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। দুই উপজেলাতেই মিলাদ মাহফিল, দোয়া, কাঙ্গালী ভোজ ও স্মরণ সভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, এ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন। বুধবার দুপুরে কসবা উপজেলা অডিটরিয়ামে দোয়া মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করা হয়। কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবনের সভাপতিত্বে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আনিসুল হক ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, আলহাজ রুহুল আমীন ভুঁইয়া বকুল, এ্যাডভোকেট একেএম আজিজুর রহমান, শহিদুল্লাহ প্রমুখ। পরে এক মিনিট নিরবতাসহ বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শোকসভাটি শেষ হয়। আখাউড়া ॥ আখাউড়ায় এ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে মিলাদ মাহফিল, দোয়া, কাঙ্গালী ভোজ ও স্মরণ সভার আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় মরহুম সিরাজুল হকের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আখাউড়া পৌরসভা মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক সেলিম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভুঁইয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য, এ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী। একই সঙ্গে পড়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল মধুর, সিরাজুল হকের ডাক নাম বাচ্চু। বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম খোকা। দুজনের মধ্য সম্বোধন ছিল ডাক নামেই। সিরাজুল হক হাজী মুহাম্মদ মহসিন বৃত্তি পেয়েছিলেন। তা দিয়েই তিনি লেখাপড়া করেছেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনী মোশতাকের মুখের ওপর তিনি বলেছিলেন ‘আপনি অবৈধ, আপনার সংসদ মানি না।’ কিংবদন্তী এই আইনজীবী একক নেতৃত্বে থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা পরিচালনা করেছেন। শুরু করেছিলেন জেলহত্যা মামলা। তা ছাড়াও অসংখ্য চাঞ্চল্যকর মামলার সফল কৌঁসুলি তিনি। তিনি বলতেন আইনজীবীরা শুধু আইনের উপজীব্য করে না তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, তাই আইনজীবীদের অপর নাম কৌঁসুলি।
×