ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসব শুরু

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ‘মিলি মৈত্রী বন্ধনে গড়ি সংস্কৃতির সেতু’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাঙালী সংস্কৃতির অমলিন সেতুবন্ধনকে আরও দৃঢ করার প্রত্যয়ে রাজশাহীতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ৮ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী’ শীর্ষক নাট্যোৎসব। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে। রাবির কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এসব নাট্য প্রদর্শনী চলবে। বুধবার বিকেলে রাবির সিরাজী ভবন চত্বরে ৮ দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রাবির উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সারোয়ার জাহান, রাজশাহীতে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার সন্দীপ মিত্র প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উৎসবের আহ্বায়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ হায়দার। আয়োজিত নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রযোজনা ‘টিনের তলোয়ার’। বাংলা নাটকের রঙ্গালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকটি রচনা করেছেন নাট্যকার উৎপল দত্ত। সমাজ যাদের দিয়েছে অপমান ও লাঞ্ছনা ওই সব মানুষরাই নাটক করেছেন নিরলসভাবে। যারা মুখোশধারী হিসেবে নাটকের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করেছেন এবং টিনের তলোয়ার নাড়িয়া পরাধীন জাতির হৃদয়- বেদনাকে দিয়েছেন বিদ্রোহ মূর্তি নাট্যকার উৎপল দত্ত ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকে এমন কাহিনী তুলে ধরেছেন। উদ্বোধনী প্রযোজনা হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকটি মঞ্চায়নে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। এ নাটকের অভিনেতা ও অভিনেত্রী সাদ্দাম হোসেন ও সাবিকুন নাহার বলেন, এতবড় আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে অভিনয় করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আরও বেশি আনন্দিত নাটক দেখে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখে। ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকটি দর্শদের ভালো লাগায় আমরা অনেক উৎসাহিত বোধ করছি। এদিকে বাংলাদেশ ভারত নাট্যোৎসবের আহ্বায়ক আরিফ হায়দার জানান, নাট্যোৎসবে দুই দেশের মোট ১০টি নাট্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয় এবং দেশের দুটি উল্লেখযোগ্য নাট্যদল দৃশ্যপট ও প্রাঙ্গণেমোর অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরা থেকে নাট্যভূমি ও কলকাতা থেকে সুন্দরম ও কালিন্দি ব্রাত্যজন উৎসবে নাটক মঞ্চায়ন করবে।
×