ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দখল ও খলনায়ক

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

দখল ও খলনায়ক

সঞ্চিতা পোদ্দার দখল দখল আর দখল। চারদিকে যেন দখলের মহোৎসব। কেউ দখল করছে নদী-নালা, খাল-বিল। কেউ বা দখল করছে খেলার মাঠ, ফুটপাথ। এমনকি কবরস্থান পর্যন্তও এই দখলবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। নদী-নালা, খাল-বিল দখল করে তৈরি হচ্ছে গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, শিল্প কলকারখানা। এই সব কলকারখানার বর্জ্য যেমন পরিবেশ দূষণ করছে, ঠিক তেমনিভাবে নদীর পানি দূষণের ফলেও জীববৈচিত্র্যর ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া নদী-নালা, খাল-বিল দখলের কারণে নদীর গতিপথ রুদ্ধ হচ্ছে- সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। যার প্রভাব পড়ছে আমাদের নগর জীবনে। যেমন বর্ষার সময় অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। কিন্তু এসব দেখার যেন কেউ নেই। এদিকে খেলার মাঠ পর্যন্ত দখল করে সেখানেও তৈরি করা হচ্ছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। সেটা কিন্তু হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। পাহাড়কে সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা হয়। অথচ ভূমিদস্যুরা সেই পাহাড় কেটে কেটে বাড়ি তৈরি করছে। যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রতিবছর বহুলোকের প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটছে। যারা এসব দখলের সঙ্গে জড়িত তাদের ঠিকমতো বিচার না হওয়ায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ফুটপাথ দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে উঠেছে। যার কারণে জনসাধারণের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে- মাঝে মাঝে দুর্ঘটনাও ঘটছে এই সব অবৈধ দখলবাজদের কারণে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে হলে ফুটপাথে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। তবে শুধু আইন করে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে এসব দখলমুক্ত করা যাবে না। কারণ যারা অবৈধভাবে জমি দখল করছে ওরা অনেক শক্তিশালী। প্রতিটি দখলের পেছনেই রয়েছে একেক জন খলনায়ক। যেভাবেই হোক আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ঠিকই বেরিয়ে যাচ্ছে তারা। তাই আগে জনগণকেই সচেতন হতে হবে। তাহলে আমাদের দখলের এই মহোৎসব কিছুটা হলেও বন্ধ হবে। মানুষ খোলা আকাশের নিচে স্বস্তির বাতাস খুঁজে পাবে। আমাদের সন্তানরা পাবে অবারিত খেলার মাঠ। প্রকৃতির লীলাভূমি পাহাড়, নদী ভালবেসে হাতছানি দেবে ব্যস্ত একঘেয়ে জীবনে মুক্তির স্বাদ নিতে। মেহেরপুর সদর থেকে
×