ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের পর জয় সিলেটের

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

বরিশালের পর জয় সিলেটের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একদিন হাতে রেখেই জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল। রাজশাহীকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে। শেষদিনে সিলেটও জয় তুলে নিয়েছে। চট্টগ্রামকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে। অন্য দুই ম্যাচ হয়েছে ড্র। খুলনা-ঢাকা মেট্রো ও রংপুর-ঢাকা বিভাগ ম্যাচ ড্র‘তেই নিষ্পত্তি হয়েছে। প্রথম স্তর ॥ ইমরুল কায়েসের ১৬৩ রানে খুলনা প্রথম ইনিংস শেষ করেছিল ৩৬৭ রানে। এরপরও ৩২ রানে এগিয়ে থাকে ঢাকা মেট্রো। তৃতীয় দিনশেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১২২ রান তুলে ঢাকা। লিড নেয় ১৫৪ রানের। চতুর্থদিনে এসে ২৬২ রান করে অলআউট হয়ে যায়। শরিফুল্লাহ ৬৭ রান করেন। খুলনার সামনে জিততে ২৯৫ রান লাগে। ২ উইকেটে ৮৪ রান তুলতেই দিন শেষ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে খেলাও ড্র’তেই শেষ হলো। এনামুল হক বিজয় ও মেহেদী হাসান দুইজনই ৩১ রান করে করেন। ইনিংস পরাজয় রুখতে লড়ছিল ঢাকা বিভাগ। শেষ পর্যন্ত শুধু ইনিংস হারই এড়াল না, ড্র’ও করল ম্যাচ। ২ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে ঢাকার প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৭৬ রানে। রকিবুল হাসান ৭৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও তৃতীয় দিনশেষে ৩৪ রান তুলতেই ১ উইকেট হারিয়েছে তারা। রংপুর এগিয়ে ছিল ১৫৩ রানে। সাইফ হাসান (৮৪), নাদিফ চৌধুরী (৫৮*) ও রকিবুল হাসান (৪২) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। এ তিনজনের নৈপুণ্যে শেষপর্যন্ত ঢাকা বিভাগ যেই ৪ উইকেটে ২৪৭ রান করে, দিন শেষ হয়। ম্যাচও হয় ড্র। দ্বিতীয় স্তর ॥ তৃতীয় দিনই বোঝা যাচ্ছিল, চট্টগ্রামে সিলেট-চট্টগ্রাম ম্যাচে কোন রোমাঞ্চ ধরা দিতে পারে। অবশেষে তাই ঘটল। তৃতীয় দিন ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করেছিল চট্টগ্রাম। ১৭৫ রানে এগিয়ে গিয়েছিল। চতুর্থদিনে ইয়াসির আলীর ৮১ রানে ২৭২ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। সিলেটের সামনে জিততে ২৬০ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। এ টার্গেট অতিক্রম করতে গিয়ে ৫২.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান করে জিতে যায় সিলেট। দুই ওপেনার শানাজ আহমেদ (৭৬) ও ইমতিয়াজ হোসেন (৭৪) মিলেই ১৪০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। সেখানেই সিলেটের হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। ম্যাচও জিতে সিলেট। স্কোর ॥ প্রথম স্তর ॥ ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস- ৩৯৯/১০; ১১৫.১ ওভার (শামসুর ১৪৪, মাহমুদুল্লাহ ১৩২; মেহেদী মিরাজ ৫/৯৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস-তৃতীয় দিন শেষে ১২২/৫; ৪৪.১ ওভার (মারুফ ৪৪, শামসুর ৪২; মেহেদী মিরাজ ৩/৩৩, বক্কর ২/৮) ও চতুর্থদিন ২৬২/১০; ১০৭.৫ ওভার (শরিফুল্লাহ ৬৭, আরাফাত ২৩, হায়দার ১১*; মেহেদী মিরাজ ৩/৫৮, রাজ্জাক ৩/১৩৬)। খুলনা প্রথম ইনিংস-৩৬৭/১০; ১০৩ ওভার (ইমরুল ১৬৩, নুরুল ৭৬; হায়দার ৪/৭৯, আসিফ ২/১০, মাহমুদুল্লাহ ২/৮০) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৮৪/২; ২০ ওভার (বিজয় ৩১, মেহেদী ৩১, ইমরুল ১৯)। ফল ॥ ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা ॥ শামসুর রহমান (ঢাকা মেট্রো)। রংপুর প্রথম ইনিংস-৪৬৩/১০; ১৫২ ওভার (তরিক ১০২, ধীমান ১০১, নাঈম ১০০; দেওয়ান ৪/৯৬)। ঢাকা প্রথম ইনিংস-২৭৬/১০; ৯৪.১ ওভার (রকিবুল ৭৯, শরীফ ৩১; বিশ্বনাথ ৩/৩৭, সাজেদুল ৩/৭১) এবং দ্বিতীয় ইনিংস- তৃতীয় দিন শেষে ৩৪/১; ২১ ওভার (মজিদ ২০*; শুভাশিষ ১/৬) ও চতুর্থদিন ২৪৭/৪; ৯৮ ওভার (সাইফ ৮৪, নাদিফ ৫৮* ও রকিবুল ৪২)। ফল ॥ ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা ॥ নাইম ইসলাম (রংপুর বিভাগ)। দ্বিতীয় স্তর ॥ চট্টগ্রাম-সিলেট ম্যাচ-চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংস- ২৭০/১০; ৮৭.২ ওভার (তাসামুল ৭৪, ইয়াসির ৫৫; আবুল ৪/৩৪, এনামুল ৩/৭৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস- তৃতীয়দিন ১৮৮/৫; ৮০ ওভার (তাসামুল ৭৭, ইয়াসির ৪১*, নাফিস ৩৭; এনামুল ২/৬২) ও চতুর্থদিন ২৭২/১০; ১০৯.৫ ওভার (ইয়াসির ৮১, ডলার ৩১; রাহাতুল ৪/৭২)। সিলেট প্রথম ইনিংস-২৮৩/১০; ৯৬.১ ওভার (এনামুল ২৯, রাহাতুল ২৭; সাইফুদ্দিন ৩/৫৫, নাবিল ৩/৮৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস ২৬৪/৫; ৫২.২ ওভার (শানাজ ৭৬, ইমতিয়াজ ৭৪, জাকির ৫৫; নাবিল ৩/৭১)। ফল ॥ সিলেট ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শানাজ আহমেদ (সিলেট বিভাগ)।
×