ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিলু শামস

সৌদি রাজতন্ত্রে ভাঙ্গনের সুর?

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

সৌদি রাজতন্ত্রে ভাঙ্গনের সুর?

চিঠি লিখেছিলেন প্রয়াত বাদশাহ আবদুল আজিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌত্র। আলোড়ন তোলা দুই চিঠিতে চব্বিশ এপ্রিল হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মিনায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছোড়ার সময়ের ‘দুর্ঘটনা’র বর্ণনা রয়েছে। পাশাপাশি ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত হওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে স্বজনপ্রীতির প্রসঙ্গও এসেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবরাজ মনে করেন মিনা দুর্ঘটনার পুরো দায় সৌদি বাদশাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। এ বছরের শুরুতে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ মারা গেলে তার জায়গায় ভাই সালমান আল সৌদের অভিষেক হয়। তিনি ভাইয়ের ছেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তার উত্তরাধিকারী এবং নিজের ছেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে তার ডেপুটি হিসেবে মনোনীত করেন। এ মনোনয়নের পেছনে নিকট-রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে কাজ করেছে এ দু’জনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফ যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ’র অন্যতম সহযোগী। এফবিআই এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের অধীনে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রশিক্ষণ রয়েছে তার। মিনা দুর্ঘটনা নিয়ে যুবরাজের চিঠি প্রকাশিত হওয়ার আগেই লেবাননভিত্তিক এক আরবী দৈনিক এবং ইরানের তেহরান রেডিও ও সংবাদ সংস্থা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে খবর প্রকাশ করে। এসব সংবাদ মাধ্যম জানায়, শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়তে হাজীরা যখন মিনায় যাচ্ছিলেন তখন যুবরাজ সালমানও সেখানে গিয়েছিলেন বাবা বাদশা সালমান আল সৌদের সঙ্গে দেখা করতে। তার সঙ্গে ছিল প্রায় তিন শ’ পঞ্চাশ জন দেহরক্ষী এবং পুলিশের বিশাল এক বহর। যুবরাজের চলার পথ মুক্ত রাখতে হাজীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচটি পথের দুটোই বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে হাজীরা ভয়াবহ বিশৃঙ্খলায় পড়েন। হঠাৎই সামনের পথ রুদ্ধ দেখে তারা থমকে দাঁড়ান এবং অনেকে পেছনে ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু এগিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষের ভিড়ের চাপে পিষ্ট ও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন এক হাজার দু’শ’ পঁয়ত্রিশ জন হাজী। আহতের সংখ্যাও মৃতের প্রায় কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন পরিসংখ্যানও রয়েছে। শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছোড়ার আনুষ্ঠানিকতা নিরাপদ ও সুসংগঠিত করার জন্য দু’হাজার ছয় সালে সৌদি সরকার মিনায় বারোতলা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে। যার কিছু অংশের কাজ এখনও চলছে। সেতুর বিভিন্ন তলায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টায় প্রায় তিন লাখ হাজী পাথর ছুড়তে পারেন। এই সেতুতে যাওয়ার পাঁচটি পথের দুটি বন্ধ রাখা হয়েছিল যুবরাজের আগমন উপলক্ষে। এসব তথ্য ধামাচাপা দেয়ার অনেক চেষ্টা করলেও ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। দায়িত্বহীনতা এবং অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযোগের তীর যখন হজ কর্তৃপক্ষের দিকে তখন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শেখ তাদের পিঠ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। সবকিছু হয়েছে ‘আল্লাহর ইচ্ছায়।’ এই আপ্ত বাক্যে তিনি সব অভিযোগ নাকচ করার চেষ্টা করেন। হজের শেষ দিন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সৌদি সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ বিন নায়েফকেও সে কথাই বলেছেন যে, এদের নিয়তিতে যা লেখা ছিল তাই ঘটেছে। এ জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়ী হতে পারেন না। অর্থাৎ অব্যবস্থাপনার দায় তারা স্বীকার করছেন না। সৌদি শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন, গ্র্যান্ড মুফতির কাজ হচ্ছে মূলত সৌদি রাজতন্ত্রের স্বার্থরক্ষা করা। এ উদ্দেশ্যেই উনিশ শ’ তেপ্পান্ন সালে সৌদি বাদশা আবদুল আজিজ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার এ পদ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু মুফতি বা অন্যান্য নেতা আত্মপক্ষ সমর্থনে যাই বলুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবরাজের চিঠি সৌদি সরকারের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনার চিত্রই তুলে ধরেছে। ব্রিটিশ দৈনিক ‘ইন্ডিপেন্ডেট’কে এই যুবরাজ বলেছেন, সৌদি আরবের বারো যুবরাজের আটজনই বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে চান না। ঊনআশি বছর বয়সী সালমানকে সরিয়ে এক সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে সিংহাসনে বসাতে চান। তার মতে, শতকরা পঁচাত্তর ভাগ উলামা এবং ধর্মীয় নেতাও আহমেদকে পছন্দ করেন। আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ মারা যাওয়ার পর সালমান বিন আবদুল আজিজ বাদশাহর দায়িত্ব নেয়ায় রাজপরিবারে বিদ্রোহের গুঞ্জন চলছে। পত্র লেখক যুবরাজ ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, শাসক হিসেবে সালমানের কিছু সিদ্ধান্তে তার ‘কাছের লোকেরা’ও অসন্তুষ্ট। নিজের ছেলে তিরিশ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স’ বানানো, ইয়েমেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো এবং একেবারে সম্প্রতি হজ অব্যবস্থাপনায় সালমানের জনপ্রিয়তা আরও কমেছে। এসব কথা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনায় রাজপরিবারে বিদ্রোহের সুর শুধু নয়, গোটা সৌদি রাজতন্ত্রই কেঁপে উঠতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সতেরো শ’ চুয়াল্লিশ সালে মোহাম্মদ বিন সৌদ সৌদি রাজপরিবারের গোড়াপত্তন করেন। তার নামে দেশের নাম হয় সৌদি আরব। দুই হাজার পনেরোয় এসে সারাদেশে এ পরিবারের পনেরো হাজার সদস্য থাকলেও রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত রয়েছে দু’হাজার সদস্যের মধ্যে। এই দীর্ঘ কালপরিক্রমায় সৌদি রাজবংশের শাসন স্থায়ী করতে রাজতান্ত্রিক এ ব্যবস্থাকে ধর্মীয় আবেগের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। পদাধিকার বলে সৌদি বাদশাহ মক্কা এবং মদিনায় মুসলমানদের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ-উল হারাম এবং মসজিদ-ই নবীর রক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এতে ‘মুসলিম বিশ্বে’র শাসন ব্যবস্থাকে ইসলামসম্মত এবং রাজপরিবারকে ইসলামের রক্ষক হিসেবে পবিত্র একটি ভাবমূর্তি তৈরি করা যায় সহজে। ওই ভাবমূর্তি সৌদি আরবকে মুসলিম বিশ্বের নেতা বানিয়েছে এবং সৌদি রাজতন্ত্রকে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। এর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিসীম অবদান রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবসার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সৌদি আরব। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ইত্যাদি দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক যেসব চক্রান্ত বাস্তবায়ন করেছে তার প্রত্যক্ষ সহযোগী সৌদি আরব। একেবারে সম্প্রতি গত মার্চে তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও আরব আমিরাতকে সঙ্গে নিয়ে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি জনগোষ্ঠীর ওপর আগ্রাসন চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে এফ-পনেরো জঙ্গী বিমান, এ্যাপাচে হেলিকপ্টার গানশিপ, সাঁজোয়া যান এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা যোগান দিয়েছে। ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন আরও প্রবলভাবে জিইয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই করেছে সৌদি আরবের সঙ্গে। এর আওতায় আধুনিক বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জামের সঙ্গে সামরিক যুদ্ধ বিমানও রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তৈরি এক বিলিয়ন ডলার দামের দুটি যুদ্ধ জাহাজ কিনবে সৌদি আরব। এর আগে জুলাই মাসে সৌদি আরবের কাছে পাঁচ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র আর পাঁচ শ’ মিলিয়ন ডলারের খুচরা যুদ্ধাস্ত্র, স্থল মাইন ও গ্রেনেড বিক্রির আলোচনা চূড়ান্ত করেছে পেন্টাগন। এ শুধু একটি আক্রমণের অস্ত্র কেনার খতিয়ান। এমন অনেক আগ্রাসন প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর সে চালায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবসা চাঙ্গা রাখতে। ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, নারী অধিকার, মানবাধিকার, পরমত সহিষ্ণুতা বলতে সৌদি আরবে কিছু নেই। সংবাদপত্র ও সরকারী বিধিনিষেধের পরিধির মধ্যে থেকে সংবাদ পরিবেশন করে। এরপরও আশ্চর্যজনকভাবে দেশটি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্যানেলের প্রধান নিয়োজিত হয়। অস্ত্র কেনাবেচায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বেশ করিৎকর্মা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার চুক্তি সম্পাদনে তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামিক স্টেটবিরোধী যুদ্ধে সৌদি আরবের অংশগ্রহণের বিষয়েও তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দু’হাজার তেরোয় মিসরে সামরিক জান্তা জেনারেল আবদেল ফাত্তা আল সিসির সামরিক অভ্যুত্থান চক্রান্তের সঙ্গে সৌদি আরবকে যুক্ত করাতে। সুতরাং তাদের খুঁটির জোর বেশ শক্ত তা ভালই বোঝা যায়। বাদশাহ্ সালমান শক্তিশালী মার্কিন লিয়াঁজো রাখতে দু’জন বেশ কারিৎকর্মাকেই নিজের দু’পাশে রেখেছেন। এতে মনে হতে পারে রাজপরিবারে নিদ্রোহের ডঙ্কা বাজলেও তা খুব বেশিদূর গড়াবে না। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির চিত্র ভিন্ন এবং আশঙ্কা সেখানেই। সৌদি আরবে রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস পেট্রোডলার। জাতীয় আয়ের শতকরা নব্বই ভাগ আসে তেল রফতানি থেকে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় রাজস্ব দ্রুত কমছে। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত যোগানই তেলের দাম কমার অন্যতম কারণ। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের অতিরিক্ত যোগান আসে সৌদি আরব থেকেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল ভা-ারের মালিক তারা। গত বছর ওপেকের সম্মেলনে সৌদি তেলমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, মূল্যহ্রাসের ঝুঁকি থাকলেও ওপেক সদস্যরা তেল উত্তোলন কমাবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দেয়া এবং তেল রফতানিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে কোণঠাসা করার জন্য মূলত তেলমন্ত্রী ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন। এতে দু’হাজার চৌদ্দতেই তেলের দাম শতকরা পঁয়ত্রিশ ভাগ কমে যায়। ফলে ওই বছরই তাদের রাজস্ব উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি এক শ’ ছয় মার্কিন ডলার হলে তাদের বাজেটে ঘাটতি থাকে না। কিন্তু এ মুহূর্তে ব্যারেল প্রতি মূল্য পঞ্চাশের ঘরে ঘোরাফেরা করছে। যার অনিবার্য ফল হিসেবে দু’হাজার চৌদ্দ-পনেরো অর্থবছরে সৌদি আরবে প্রায় চল্লিশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট ঘাটতি থাকছে। তেলের দাম আরও কমলে সঙ্কট যে কোথায় পৌঁছাবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। অভ্যন্তরীণ মূল এ সঙ্কটের পরও বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত হয়ে কাজ করায় সৌদি আরব পরিণত হয়েছে প্রায় স্থায়ী যুদ্ধ অর্থনীতির দেশে। এছাড়া প্রকাশ্যে শিরñেদ এবং শিরñেদের পর কবন্ধ দেহ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা বা হেলিকপ্টারে বেঁধে শহরের আকাশ প্রদক্ষিণ করে প্রদর্শন করার মতো অমানবিক কাজগুলো বাইরের দুনিয়ায় সৌদি আরবের বর্বর চিত্রই তুলে ধরে। সবশেষ মিনায় হাজীদের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের গণবিরোধী অমানবিক চেহারা বিশ্ববাসীর কাছে আবার উন্মোচিত হলো। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঘটনাবলী যেভাবে দ্রত বদলাচ্ছে তাতে মনে হয় বদলে যেতে পারে রাজতান্ত্রিক সৌদি অরবের শাসন ব্যবস্থাও।
×