ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে তৎপর এনবিআর

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৫

গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে তৎপর এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে নজরদারি বাড়িয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কয়েক মাস আগে এ বিষয়ে এক নির্দেশনা জারি করে প্রতিষ্ঠানটি। যা বাস্তবায়নে কাজ করছে শুল্ক বিভাগ। আমদানিকারক ও গাড়ি ব্যবসায়ীদের মতে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বা আমদানিকারক, শুল্ক ফাঁকি দিতে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সুযোগ নেয়। যাতে ক্ষতির মুখে পড়ে স্বচ্ছ ব্যবসায়ীরাও। বিশ্লেষকদের মতে, এ খাতে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে গাড়ির শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ আর কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদারকি প্রয়োজন। ব্র্যান্ডনিউ গাড়ি আমদানিতে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্য বা আন্ডার ইনভয়েস; জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির ঘটনা অনেকটা হরহামেশাই ঘটে থাকে। কেবল নতুন গাড়িতে নয় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতেও মূল্য কারচুপির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ মেলে অনেক সময়। বিশ্লেষকদের মতে, ক্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা আর দুর্বল নীতির কারণে আমদানিকারকরা এ সুযোগ পায়। সম্প্রতি এ বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে এনবিআর। বিষয়টিকে উচ্চ ঝুঁকি হিসেবেই দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন নতুন গাড়ির যে শুল্কায়ন হচ্ছে তা নিয়ে এনবিআরে কঠোর নির্দেশনা গাড়ি আমদানিকারক, প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ডিলার হিসেবে গাড়ি আমদানি করলে অবশ্যই রফতানিকারকের ইস্যু করা চালানপত্র দাখিল করতে হবে। চালানপত্রের মূল্য সঠিক পাওয়া গেলে প্রাপ্ত মূল্যের উপর শুল্কায়ন করা হবে। গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ফাকি ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিলেও তা কাজে আসেনা খুব একটা। এ বিষয়ে বিদ্যমান আইন বা নীতিমালায় ঘাটতি আছেকিনা এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, আমদানিকারকরা নিয়ম না মানার কারণেই এমন হয়। এজন্য কতৃপক্ষের অপারগতাই দায়ী। বাংলদেশে টয়োটার একমাত্র পরিবেশক নাভানা। এছাড়াও পিকআপ মাইক্রোবাস সহ এমন নতুন গাড়ি আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের বিপণণ কর্মকর্তার মতে, সবকিছু ঠিকঠাক নিয়ম মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তারা। বরং যারা ফাঁকি দিচ্ছে তাদের কারণে বাজারে অসম প্রতিযোগীতা তৈরি হচ্ছে। গাড়ি আমদানির শুল্ক সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ খাত থেকে বছরে সরকার রাজস্ব হারায় অন্তত ৫ শ কোটি টাকা।
×