ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশের ৫টি ধারা নিয়ে রুল

প্রকাশিত: ০২:০০, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশের ৫টি ধারা নিয়ে রুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থ পাচার মামলা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ক্ষমতা খর্ব করে পুলিশকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রীসভায় সদ্য অনুমোদিত ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৫ এর ৫টি ধারা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে অধ্যাদেশের ২ (খ) (ঠ), (অ), ৫, ৬,৭ (খ) এবং ১১ ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সমাজের প্রতি যুবর উদ্যোগ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ মঙ্গলবার হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটে বলা হয়, ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশের উল্লেখিত ৫টি ধারা দুদক আইন ২০০৪ এর ২ক,৩(২),৩(৩),১৭(ক)(ঞ),২০,২৪ ও ৩২(১) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে অর্থ পাচার মামলা তদন্তে দুদকের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এরপর ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্র্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর অর্থ পাচারের বিষয়ে পুলিশকে তদন্তের ক্ষমতা দিয়ে মানি লন্ডারিং সংশোধন আইন ২০১৫ খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রীসভা। সংশোধন অনুযায়ী, এখন থেকে শুধু দুদক ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করবে। অর্থ পাচার সংক্রান্ত অন্য অপরাধগুলোর তদন্ত করবে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রয়োজনে অর্থ পাচারের বিষয় যৌথভাবে তদন্ত করা যাবে।
×