ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র আশুরা পালিত

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র আশুরা পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মধ্যরাতে রাজধানীতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর বোমা হামলার পরও শনিবার সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। পবিত্র ইসলাম ধর্মে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনার কারণে আশুরা বা ১০ মহরম অনুসারীদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতার পবিত্র আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে। পবিত্র আশুরাতে হিজরী ৬১ সালের ১০ মহরম মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এ ছাড়াও ১০ মহরমে হযরত মুসা (আ) ফেরাউনের জুলুম থেকে পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন। তাঁর অনুসারীদের নিয়ে নীল নদ পার হয়ে যান তিনি। তাঁদের পিছু নেয়া ফেরাউন সদলবলে নীল নদে ডুবে যায়। এমন আরও অনেক তাৎপর্যময় ঘটনা ঘটেছিল এই দিনে। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এ দিনটি একদিকে যেমন শোকের, তেমনি হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার চেতনায় উজ্জ্বল। তবে, সব থেকে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে কারবালা প্রান্তরে। ইয়াজিদের নির্মমতা হার মানায় মহাকালের সকল ঘটনাকে। শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বলছেন, ইয়াজিদের বংশধররা এখনও নিপাত যায়নি। সুযোগ পেলেই তারা ধর্মপ্রাণ নিরীহ মুসলমানদের ওপর আঘাত হানছে। হোসনি দালানের ভেতরে ইয়াজিদের বংশধররাই বোমা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাজিয়া মিছিলে অংশ নেয়া শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। হোসনি দালানের তত্ত্বাবধায়ক এমএ ফিরোজ বলেন, বোমা হামলার বিষয়টি অপ্রত্যাশিত। পুলিশ আমাদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দিয়েছিল। কিন্তু মিছিল বের হওয়ার আগেই বোমা হামলা হয়। ভক্তরা বলছেন, মাতম চললেও ইমাম হাসান হোসাইনের মৃত্যু আজও মেনে নেয়নি মুসলমানরা। আজও ইয়াজিদের বংশধররা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের ধ্বংস কামনা করে যুবকরা এখানে গোসল করে মনকে শান্তনা দিচ্ছেন।
×