ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভালুকার পল্লীতে মালটার আবাদ

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ২৫ অক্টোবর ২০১৫

ভালুকার পল্লীতে মালটার আবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ॥ ভালুকা উপজেলার পল্লীতে শুরু হয়েছে অর্থকরী ফল মালটার আবাদ। উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দীন চানু আগাছায় ভরে থাকা জমিতে মালটার আবাদ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন । বাগানে উৎপাদিত মালটা বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। বিভিন্ন ফলের দোকানে ওই মালটার চাহিদাও অনেক । বাগান মালিক আফতাব উদ্দীনের জানান , নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা ভালুকা পল্লী বিদ্যতে কর্মরত অবস্থায় মন মোহন সরকার কয়েক বছর পূর্বে ওই গ্রামে জমি কিনে প্রথম মালটার আবাদ শুরু করেন। আর ওই মালটা বাগানে আফতাব উদ্দিন শ্রমিক হিসাবে দেখাশোনা ও পরিচর্যার দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর পর তার বিশ্বস্থতার পুরষ্কার হিসেবে মন মোহন সরকার খুশি হয়ে আফতাব উদ্দিনকে ছোট বড় মিলিয়ে ৩শত টি মালটার চারা গাছ বিনে পয়সায় রোপনের জন্য দেন। আফতাব উদ্দীন বাড়ী সংলগ্ন চার পাশের ২০ কাঠা জমিতে মালটার চারা লাগিয়ে পরিচর্যা শুরু করেন। গত দুই বছর যাবৎ গাছে মালটা ধরা শুর করে। এ বছর নিজস্ব ২০ কাঠা ও মন মোহনের বর্গা করা আরও দুটি বাগানের ২ একর জমি থেকে এ পর্যন্ত ২০ মনের উপরে মালটা বিক্রি হয়েছে। আরও ১০/১৫ মনের মত গাছে রয়েছে। ৪ হাজার টাকা মন দরে বাগান থেকে পাইকাররা এসে মালটা কিনে নিচ্ছেন। নতুন অবস্থায় চারা গাছে ২০ কেজি থেকে ৪০/৫০ কেজি পর্যন্ত মালটা আসে। গাছ যত বড় হয়ে ডালপালা বিস্তার করবে তত বেশী মালটার ফলন আসবে। ফালগুন চৈত্র মাসে মালটার মুকুল আসে, এ সময় গাছের গোড়ায় প্রচুর পানি ও সার, কীটনাশক দিতে হয়। তবুও মালটা চাষ অন্যান্য ফসলের চেয়ে ব্যাপক লাভজনক । এ এলাকায় উৎপাদিত মালটা আকারে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের হলেও ক্ষেতে খুব মিষ্টি। ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আজম খান রবিবার জানান , ভালুকার মাটি মালটা চাষের জন্য উপযোগী । ব্যাক্তি উদ্যোগে অনেকেই মালটা আবাদ শুর করে উপকৃত হচ্ছেন । লাভজনক বিদায় আরোও অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ।
×