ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দিনাজপুরে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী হাসপাতালে ॥ প্রধান শিক্ষক সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দিনাজপুরে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী হাসপাতালে ॥ প্রধান শিক্ষক সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামের বেত্রাঘাতে আহত হয়ে তিন ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা সকলেই অষ্টম শ্রেণীর ‘ক’ শাখার ছাত্রী। আহত তিন ছাত্রী হলো মরিচা ইউনিয়নের সাতখামার গ্রামের সাজেদুল ইসলামের কন্যা মমতাজ পারভীন বর্ষা (১৪) রোল-১৯, একই এলাকার ছিড়াবাজু গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা শান্তা খাতুন (১৩) রোল-৭০, নিজপাড়া ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের কন্যা তানজিনা আখতার (১৪) রোল-(৫৭)। বিক্ষুব্ধ জনতা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি জানায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মনজুর এবং বীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন। আহত ছাত্রীদের সহপাঠী প্রতিমা রায় জানায়, সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বিজ্ঞান ক্লাস নিতে আসেন। ক্লাসে এসে প্রথমে তিনি মমতাজ পারভীন বর্ষাকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিষয়ে লিখতে বলেন। সে না পারায় পরে শান্তা খাতুন এবং তানজিনা আখতার ডেকে তাদের লিখতে বলেন। কিন্তু কেউ না পারায় স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাতে থাকেন। তাদের চিৎকারে অন্য শিক্ষকরা ছুটে এসে প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি তাদের সামান্য শাসন করেছি। দু-একটা মার দিয়েছি। পিতা হিসেবে কন্যাকে যেভাবে শাসন করা হয়, আমি ততটুকুই করেছি। অন্যায় কিছু করিনি। বিদ্যালয়ের সভাপতি হিমাংসু চন্দ্র চন্দ জানান, পরিচালনা কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বরিশালে নির্যাতনের পর ঘুষ গ্রহণ ॥ এএসআই প্রত্যাহার স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ যুবলীগ নেতাকে জিম্মি করে নির্যাতনের পর মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমানকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সোমবার রাতে প্রত্যাহার করে নেয়া এএসআই হাবিবুর জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজ গ্রামের বজলুর রহমানের পুত্র। জানা গেছে, টুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে গত ২৯ জুন হাবিবুর রহমান কোতোয়ালি মডেল থানায় যোগদান করেছিল। নির্যাতনের শিকার যুবলীগ নেতা আযম খান মুলাদী উপজেলার ছবিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উত্তর বালিয়াতলী গ্রামের বাবুল খানের পুত্র। আযম খান অভিযোগ করেন, সাত বছর পূর্বের একটি মামলায় তিনি গত ২ সেপ্টেম্বর বরিশাল আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। বলা দুইটার দিকে আদালতপাড়া থেকে এএসআই হাবিবুর রহমান তাকে ধরে নিয়ে মাহমুদিয়া বোর্ডিং নামের আবাসিক হোটেলের কক্ষে আটক করে রাখেন। তার (আযম) বিদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এবং অস্ত্র থাকার খবর রয়েছে বলে অভিযুক্ত করে এএসআই তাকে অমানুষিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখিয়ে এএসআই হাবিবুর রহমান আযমের সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ছাড়াও আটক অবস্থায় বিকাশের পৃথক দুটি নাম্বরে ৫০ হাজার ৪৭০ টাকা ঘুষ নিয়েছে হাবিবুর। টাকা পাওয়ার পর এএসআই হাবিবুর রহমান তাকে (আযম) ছেড়ে দেয়।
×