ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভূমধ্যসাগরে মাছ ধরার নৌকা থেকে ১১৪ শরণার্থী উদ্ধার

মালয়েশিয়ায় নৌযান ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মালয়েশিয়ায় নৌযান  ডুবিতে মৃতের  সংখ্যা বেড়ে ৫০

ভূমধ্যসাগরে বিপদে পড়া একটি নৌযান থেকে এক শ’ ১৪ জন সিরীয় শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে সাইপ্রাস। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর লারনাকা থেকে ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে শনিবার রাতে ৫৪ জন নারী ও শিশুসহ শরণার্থীরা ছোট মাছ ধরার একটি নৌকায় করে সিরিয়া থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। দ্বীপটির জয়েন্ট রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের এক সূত্র রবিবার এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির। সূত্রটি জানিয়েছে, যাত্রীদের সবাইকে নিরাপদে লারনাকার উপকূলে নিয়ে আসা হয় এবং হতাহতের কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে এরপর উদ্ধারকৃত শরণার্থীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে বিষয়ে ওই সূত্র কিছু বলতে পারেনি। সিরীয় উপকূল থেকে সাইপ্রাস মাত্র এক শ’ কিলোমিটার দূরে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে সেখানে শরণার্থীদের তেমন কোন ভিড় নেই। বরং শরণার্থীরা দ্বীপটিতে ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে যাওয়ার বাইপাস হিসেবে ব্যবহার করে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশটি প্রায় তিন শ’ ৪৫ জন সিরীয় ও ফিলিস্তিনী শরণার্থীকে একটি নৌযান থেকে উদ্ধার করেছিল। এদিকে তিনদিন আগে ইন্দোনেশীয় অভিবাসীদের ডুবে যাওয়া নৌযান থেকে ৩৫টির বেশি মরদেহ উদ্ধার করেছে মালয়েশীয় উদ্ধারকারীরা। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়াল। মালয়েশিয়ার উদ্ধার কর্মকর্তারা রবিবার এ খবর জানিয়েছেন। নৌকাটি মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর প্রদেশের সাবাক বার্নাম থেকে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার দিকে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। মালয়েশিয়ার উপকূলীয় নিরাপত্তা সংস্থার ফার্স্ট এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ আলিয়াস হামদান বলেন, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ৩৫টির বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে আরও লাশ উদ্ধার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সব ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে একদিনের বেশি সময় পর একজনকে সুস্থাবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়।
×