স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় পুলিশের হাতে আটক প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ১২ কেজি ৮৩ গ্রাম ওজনের ১১০ পিস সোনার বার উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাইভেট কারটি তিনদিন ধরে থানায় পড়েছিল। শুক্রবার রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রাইভেটকারটি (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৩-৯৫৪০) তল্লাশি করা হয়। বাঘারপাড়া থানার ওসি ছয়রুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রাইভেট কারের গিয়ার বক্সের ভেতর বিশেষ কৌশলে সোনার বারগুলো ১১টি প্যাকেটে লুকিয়ে রাখা ছিল। সেখান থেকে মোট একশ’ ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, প্রাইভেটকারের মালিক খুলনার তৌহিদুর রহমানকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে খুলনা নগরীর দুই নম্বর কাস্টমস ঘাটের মৃত রেজোয়ান খানের ছেলে তৌহিদুর রহমান খান নড়াইলের কালনাঘাট এলাকা থেকে প্রাইভেটকার যোগে খুলনা যাচ্ছিলেন। নড়াইল-যশোর সড়কের গাবতলা ব্রিজের কাছে দু’টি মোটরসাইকেলে ৫/৬ ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রাইভেটকারের ড্রাইভার মালেকের হাতে হাতকড়া লাগায়। গাড়িতে অবৈধ সোনা রয়েছে অভিযোগ তুলে তারা থানায় নিয়ে তল্লাশি করা হবে বলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পিস্তল দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে আটককারীদের নেতা মিজান নিজেই গাড়িটি চালিয়ে স্থানীয় এক ইটভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে গাড়ির ড্রাইভার ও আরোহীকে বেধড়ক পেটানো হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ চার হাজার সাতশ’ টাকা ও দু’টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তারা বসুন্দিয়ার দিকে যাওয়ার পথে ধলগ্রাম রাস্তার মোড়ে বাঘারপাড়া থানার এসআই তরুণ কুমার কর গাড়িটি চ্যালেঞ্জ করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল আরোহীরা পেছন থেকে পালিয়ে যায়। ধরা পড়ে মিজানুর রহমান। জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, সে পুলিশের কনস্টেবল। তার পোস্টিং ঝিকরগাছা থানায়। সে নড়াইলের নড়াগাতি থানার নয়নপুর গ্রামের মৃত মোক্তার শেখের ছেলে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ওয়াচার সাতক্ষীরায় কর্মরত লিপ্টন, পাবনার সুজানগর থানার কনস্টেবল রুবায়েত হোসেন, অভয়নগরের মোশাররফ ও আশরাফ জড়িত বলে মিজান স্বীকার করে। পুলিশ মিজানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় আটক রাখে। কিন্তু পরদিন ভোরে সে থানা থেকে পালিয়ে যায়। আসামি পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে বাঘারপাড়া থানার ওসিসহ তিনজনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: