ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন গুয়াতেমালার সাবেক প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করলেন  গুয়াতেমালার সাবেক প্রেসিডেন্ট

গুয়াতেমালার সাবেক প্রেসিডেন্ট অটো পেরেজ মরিনা (৬৪) শুল্ক দুর্নীতির এক ষড়যন্ত্রের হোতা হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ষড়যন্ত্র লা লাইবিয়া বা দি লাইন নামে অভিহিত। ওই কেলেঙ্কারি নিয়ে অন্তত ১০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। খবর বিবিসির। পেরেজ মলিনা শুক্রবার আদালতের উদ্দেশে বলেন, প্রথমে আমি অভিযোগ অস্বীকার করতে চাই। আমি লা লাইবিয়াতে জড়িত নই। তিনি কোন ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ৮ লাখ ডলারের বিনিময়ে আমি আমার মর্যাদা, কর্ম এবং গুয়াতেমালার স্বার্থে আমার নেয়া সব প্রচেষ্টার প্রতি ঝুঁকির সৃষ্টি করতে চাই না। তিনি ওই অঙ্কের অর্থ অবৈধভাবে গ্রহণ করেছিলেন বলে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করে থাকেন। তদন্তকারীরা বলছেন, ওই ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিতে দেয়ার বিনিময়ে সরকারী কর্মকর্তা ও শুল্ক কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছিল। পেরেজ মলিনা আদালতকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, তিনি ১৯৯৩ সালে পলাতক মেক্সিকান মাদক সম্রাট জোয়াকিন শার্ট গুজম্যানের দেয়া এর চেয়ে আরও অনেক বেশি পরিমাণ ঘুষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পেরেজ মলিনার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে গুজম্যান গুয়াতেমালায় গ্রেফতার হয়। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শুনানির পর পেরেজ মলিনাকে গুয়াতেমালা সিটির এক আদালত থেকে রাজধানীর এক বন্দীশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক বিচারক দুর্নীতির অভিযোগের শুনানির সময় তাকে আটক করার নির্দেশ দেন। পেরেজ মলিনা বলেন, গুজম্যান আটক হওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে আমাকে ১০-১৫ গুণ বেশি ঘুষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আমি তা গ্রহণ করিনি, কারণ সেটি আমার নীতির বিরুদ্ধে। গুজম্যানকে মেক্সিকোর হাতে সমর্পণ করা হয়েছিল, কিন্তু সে চলতি বছরের প্রথমদিকে দ্বিতীয়বারের মতো কড়া নিরাপত্তাধীন এক কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। পেরেজ মলিনা বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার পর ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো মালদোনাদো অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মালদোনাদো মাধ্যমে থেকে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন। তখন তার পূর্বসূরী রোক্সানা বালদেত্তি পদত্যাগ করেন। বালদেত্তিও পেরেজ মলিনির মতো একই দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। তিনিও কারাগারে রয়েছেন।
×