ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আগস্টে প্রবাসী আয় কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আগস্টে প্রবাসী আয় কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জুলাইয়ের পর আগস্ট মাসেও কমেছে প্রবাসী আয়। এ মাসে প্রবাসীরা ১১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ২০ কোটি ডলার বা সাড়ে ১৪ শতাংশ কম। তবে এটি গেল অর্থবছরের আগস্টের চেয়ে ১ কোটি ২৮ লাখ ডলার বেশি। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই (জুলাই-আগস্ট) মাসে প্রবাসীরা যে পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ কম। ঈদ পরবর্তী মাস হওয়ার কারণে আগস্টে প্রবাসী আয় কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তারা জানান, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদের আগে প্রবাসীরা তাদের পরিবার পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠান। এজন্য জুনের পর জুলাইতেও বড় অঙ্কের রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা। আসছে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় বাড়বে বলে জানান তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ২৫৭ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। গেল অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসীরা দেশে ২৬৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ১৩৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠান। আর গেল অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেমিটেন্স আসে ১৪৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এদিকে, আগস্টে বেসরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৭৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার ও বিদেশী ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। বরাবরের মতো আগস্টেও সবচেয়ে বেশি ২৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেল ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রথমবার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেড় হাজার কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করে। গেল অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। এছাড়া এটি এক অর্থবছরের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে ২০১২-১৩ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে দেশে রেমিটেন্স এসেছিল ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয় এক হাজার ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল।
×