ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অহনা

সময় এসেছে

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সময় এসেছে

বাংলাদেশের ৮০ দশকের ফুটবল খেলার ইতিহাস বিষয়ে বাবা, চাচাদের কাছে গল্প জানার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। বাবা ফুটবলের রাজা পেলের খুব ভক্ত। আমার বড় চাচা আবদুল হামিদ মুনসুর ভাল ফুটবল খেলে মাঠ কাঁপাতেন। বড় চাচা ভক্ত ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় সালাউদ্দিনের। লাল মোহাম্মদ, টুটুল, হেলাল, সালাম মুর্শিদি, মনু, মহসিন, স্বপনদের মাঠ কাঁপানোর গল্প শুনেছি বহুবার। একবার বাংলাদেশের জাতীয় টিম খেলে গেছেন আমাদের গফরগাঁওয়ে। হৈ চৈ পড়ে ছিল গফরগাঁওসহ পাশের উপজেলাগুলোতেও। বাংলাদেশের ৮০ দশকের ফুটবলের ইতিহাস ছিল খুব গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের। তখন নাকি এদেশের মানুষ ভাবতেন আমরা কোনদিন যাচ্ছি বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে। এমনিভাবে তখনকার মানুষের চোখ ভরা স্বপ্ন ছিল তুঙ্গে। যেদিকে চোখ যেত ফাঁকা বিশাল মাঠ, দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ। আবার মাঠের পর মাঠ। গ্রামবাংলার ছেলেরা নদীর ধারে বাতাবী লেবু দিয়ে কতই না ফুটবল খেলায় মেতেছিল। এসব শুনে আমার প্রশ্ন জাগে, এখন কি আগের মতো নেই? আজও ফুটবল খেলা হয়, মাঠে দর্শক যাচ্ছে, কিন্তু কোথাও যেন প্রাণ নেই। আকাশ সংস্কৃতির জগতে আমাদের পৃথিবী কাঁপানো ফুটবলের সেরা খেলোয়াড়দের খেলা দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি ফুটবলে অনেক পিছিয়ে গেছি? বড়দের কাছে শোনা এক সময় প্রেসিডেন্ট কাপ খেলা হতো বাংলাদেশে। বর্তমানে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা, সার্ফ ফুটবলসহ অনেক খেলাই। আমি যখন ইউরোপ বা আমেরিকার মতো দেশের খেলা দেখি তখন মনে হয় আমরা আসলেই কি ভাল ফুটবল খেলছি? এবার সময় এসেছে ক্রিকেটের মতো সারা বিশ্বকে জানান দেয়ার, আমরাও পারি। আমরাও ফুটবল ভালবাসি। আসুন সবাই মিলে মাঠে গিয়ে খেলা দেখি। যুবকরা পারছে পদক ছিনিয়ে আনতে। সেদিন আর বেশি দূরে নয় বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে। লাল-সবুজের পতাকা উড়বে বিশ্বের ফুটবলের যুদ্ধের ময়দানে। আমরা ১৬ কোটি মানুষ প্রতিনিয়তই স্বপ্ন দেখছি দিনভর। গফরগাঁও, ময়মনসিংহ থেকে
×