ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইএস অবস্থানে তুরস্কের প্রথম বিমান হামলা

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৩১ আগস্ট ২০১৫

আইএস অবস্থানে তুরস্কের প্রথম বিমান হামলা

তুরস্ক সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীনে গঠিত কোয়ালিশনের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিমান হামলা চালায়। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। তুর্কি জঙ্গী বিমানগুলো শুক্রবার রাতে সিরিয়ার সীমান্ত বরাবর ইসলামিক স্টেট (আইএস) লক্ষ্যবস্তুর ওপর যৌথ হামলা চালাতে শুরু করে। এসব আইএস অবস্থান তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকির সৃষ্টি করেছিল। ওই বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। কয়েক মাস ধরে দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর তুরস্ক আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে গত মাসে সম্মত হয়। তুর্কি জেটগুলো সিরীয় আকাশসীমা পার না হয়ে সিরিয়ার আইএস অবস্থানগুলোর ওপর হামলা চালাতে লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমা ব্যবহার করে। পরে তুরস্ক মার্কিন জেটগুলোকে সিরীয় সীমান্তবর্তী একটি বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেয়। শুক্রবারের হামলাই ছিল মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্কের চালানো প্রথম হামলা। এর আগে তুর্কি ও মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের সহযোগিতার পদ্ধতি ও কারিগরি দিক নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছান বলে ঘোষণা করেন। সহযোগিতায় তুরস্ক কোয়ালিশনের বিমান অভিযানে পূর্ণ মাত্রায় যুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের জঙ্গীবিমান কোয়ালিশনের যুদ্ধ বিমানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় এমন সব আইএস লক্ষ্যবস্তুর ওপর যৌথভাবে বিমান অভিযান চালানো শুরু করে, যেগুলো আমাদের দেশের নিরাপত্তার প্রতিও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই তুরস্কের জন্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কাজ। বিবৃতিতে লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিস্তারিত বিবরণÑ কতগুলো বিমান ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল তা জানানো হয়নি। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘আনাদোলু’ আলেপ্পো থেকে স্থানীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, কোয়ালিশন বাহিনী আলেপ্পো প্রদেশের আইএস অধিকৃত মানজিব শহরে আইএস লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় আইএসের অবস্থানগুলো ধ্বংস হয়, কিন্তু এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা জানানো হয়নি।
×