ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পারমাণবিক সংঘাত প্রশ্নে জল্পনা-কল্পনা করবেন না

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৩০ আগস্ট ২০১৫

পারমাণবিক সংঘাত প্রশ্নে জল্পনা-কল্পনা করবেন না

পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে জল্পনাকল্পনা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হবে না বলে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়েছে। এদিকে শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর পাকিস্তান তার পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচীকে ত্বরান্বিত করছে এবং এক দশকের মধ্যে দেশটি তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রভা-ারের অধিকারী হয়ে উঠতে পারে মর্মে দুটি মার্কিন থিংক ট্যাংকের রিপোর্টকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি পরমাণু অস্ত্র উন্নয়নে সংযম প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই আমরা পাকিস্তানসহ পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম সকল রাষ্ট্রের প্রতি অব্যাহতভাবে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতায় লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়ে যাব। কোন কোন পাকিস্তানী কর্মকর্তা দ. এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতের রূপ নিলে পরমাণু বোমা ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন বলে এক শ্রেণীর গণমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে কিরবি সেই বিতর্কে জড়াতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি সেসব মন্তব্য দেখিনি। তাই আমি বিশেষভাবে সে সম্পর্কে বলতে বিরক্তি বোধ করি। ‘আমরা যা চাই তা হলো উত্তেজনা হ্রাস।’ যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে পরমাণু প্রশ্নের মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে কিনা প্রশ্ন করা হলে কিরবি বলেন, ‘অবশ্যই, এসব বিষয় নিয়ে পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমরা নিয়মিত ভিত্তিতে আলোচনা করে থাকি। তিনি বলেন, পরমাণু প্রশ্নœ এমন একটি বিষয় যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহতভাবে যার ওপর মনোযোগ নিবন্ধ করে যাবে। কারণ এটি প্রেসিডেন্ট ওবামার পরমাণু বোমামুক্ত একটি বিশ্বের কল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু কর্মসূচীর ব্যাপারে পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে থাকে। তবে তিনি একটি মার্কিন থিংক ট্যাংক রিপোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরে তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু বোমা মজুদকারী দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ‘রিপোর্টের তথ্যের ব্যাপারে আমার অর্থপূর্ণ কিছু যোগ করার নেই।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র কাজী খলিলউল্লাহ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের রিপোর্টের লক্ষ্য ভারতের তেজস্ক্রিয় পদার্থ মজুদের ব্যাপক বৃদ্ধির বিষয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়া। ক্রমবর্ধমান পরমাণু উপাদান সরবরাহকারী গোষ্ঠীর দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর এবং এই অঞ্চলে তৎজনিত অস্থিরতা সৃষ্টির কারণেই এসব কথা বলা হচ্ছে। খলিলউল্লাহ আরও বলেন, পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে পাকিস্তানের নীতি সর্বোচ্চ সংযম ও দায়িত্বশীলতার বৈশিষ্ট্য বহন করে। আমরা কঠোরভাবে বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম নিবৃত্তিমূলক ধারণায় বিশ্বাসী এবং আমাদের পরমাণু কর্মসূচী কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষেই পরিচালিত। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নিয়োজিত হওয়ার কোন আগ্রহ নেই।
×