ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৩ জুলাই ২০১৫

আজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের আজ ৯০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের এই দিনে ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের অনন্য এক প্রতীক ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে, প্রতিটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদও ছিলেন একজন। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছর বঙ্গবন্ধু বাঙালীর মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। আর ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের পর শুরু করে একতরফা গণহত্যাযজ্ঞ। শুরু হয় বাঙালীর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তখন নেতৃত্বের মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদের ওপর। তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন। মাত্র নয় মাসের মধ্যে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে সরে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করে। পরে তাঁকে জেলখানায় বন্দী রাখা হয়। বন্দী থাকা অবস্থায় তাঁকে এবং আরও তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যন্তরে একই বছরের ৩ নবেম্বর নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
×