ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাকিবের প্রত্যাশা ম্যাচ জয়

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৫ জুলাই ২০১৫

সাকিবের প্রত্যাশা ম্যাচ জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। সিরিজে এখন ১-১ সমতা আছে। আজ চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে জিতলেই সিরিজ জিতে নেবে বাংলাদেশ। টানা চার সিরিজ জয় হবে। জিম্বাবুইয়ে, পাকিস্তান, ভারতকে সিরিজে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও সিরিজে হারানোর গৌরব অর্জন করবে বাংলাদেশ। যেভাবে হোক, ‘ম্যাচটি যেন জিততে পারি’ এমনই আশা সাকিবের। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমন আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। * বড় ম্যাচ- -সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন মাঠে নামি তখন তো সব ম্যাচ জেতার চিন্তা থাকে। হ্যাঁ এই ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী। স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকদিন ধরে ঘরের মাঠে হারিনি। আমাদের জন্য আরেকটি সুযোগ যে ম্যাচটি ভালমতো খেলতে পারি এবং জিততে পারি। অবশ্যই বড় একটা সুযোগ। আমি বলব না অত বড় ম্যাচ। তবে আমাদের জন্য সুযোগটা অনেক বড়। * বড় পাওনা- -অবশ্যই পাকিস্তান ও ভারতের থেকে বড়। কারণ এই জিনিসগুলো তো আমরা আগে কখনও করিনি। যেই জিনিসটা আগে করিনি স্বাভাবিকভাবে সেই জিনিসটা অবশ্যই বড় হবে। যদি এ রকম কিছু হয় অবশ্যই বড় হবে। এখন পর্যন্ত যেটা করেছি সেটাও বড়। এর আগে তো কখনও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজে হারাতে পারিনি। সেটাই একটা বড় বিষয়। যদি সিরিজটি জিততে পারি তাহলে অনেক বড় ব্যাপার হবে। আমরা তো সব ম্যাচ চেষ্টা করি জয় পাওয়ার জন্য। যদি জিততে পারি তাহলে তো ভাল। সবার জন্য ভাল হবে। কারণ এর আগে তো কখনও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ জিততে পারিনি। আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। * চাপ- -মোটিবেশন আর বাড়তি প্রেসার আসলে কোনটাই না। সিরিজ যেহেতু তিন ম্যাচের, জিততে হলে যে কোন দলকে দুটি ম্যাচে জিততে হবে। সেই চিন্তা করে সবাই সিরিজ শুরু করে। যদিও সবাই ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করে। আমরা যেহেতু দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে গেছি, আমাদের সামনে বড় কিছু পাওয়ার হাতছানি আছে। অবশ্যই সবাই সেদিকে বেশি ফোঁকাস করবে। ম্যাচটি যেন জিততে পারি। হোমে যে জয়ের ভাল রানটা চলতেছে সেটা যেন কন্টিনিউ করতে পারি। * বোলিং- -আমি সন্তুষ্ট ছিলাম। সত্যি কথা, নিজের কাছেও মনে হয়েছে, আমি যেভাবে চেয়েছি সেভাবে বোলিং করতে পেরেছি। সে জন্য আমি সন্তুষ্ট। উইকেট/পুরস্কার পেলে তো অবশ্যই ভাল লাগে। আমি ওগুলো নিয়ে অত বেশি চিন্তিত না। ভাল বল করছি, কন্ট্রিবিউট করছি তাতেই আমি খুশি। যেটা হয়, অত বেশি ব্যাটসম্যানরা চার্জ করে না। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ানডে ম্যাচে উইকেট পাওয়াটা কঠিন। ওই ধরনের পিচ না হলে। উইকেট পাওয়া আমি সব সময় মনে করি ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। কিন্তু ভাল বল করাটা আমার হাতে। যেটা আমি করার চেষ্টা করি। * ২৫০ রান- -কারও ব্যাটিং কিংবা কারও বোলিং দেখার পর বোঝা যায় উইকেটে কতটা রান নিরাপদ। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ২৫০ রান যদি কেউ করে ফেলে তাহলে যে পরে ব্যাটিং করবে তার জন্য টার্গেটটা একটু কঠিন হবে। টার্গেট তাড়া করার একটা প্রেসার অবশ্যই থাকবে। আসলে আগের থেকে বলাটা মুশকিল কত রান নিরাপদ। * স্পিন- -ম্যাচ জিততে হলে তিন বিভাগকেই ভাল করতে হবে। এখানে শুধু স্পিনার, পেসার কিংবা ব্যাটসম্যানের আলাদা কোন প্রতিযোগিতা নেই। প্রতিযোগিতা সবার। প্রতিযোগিতা মাঠে, মাঠের বাইরে সব জায়গায়। * আত্মবিশ্বাস- -আসলে এটা কোন বিষয় না যে আমরা এক ম্যাচ হারলে আমাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যাবে। আবার এক ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস আকাশে চলে যাবে। আমার মনে হয় না এটা কোন খেলোয়াড়ের ভেতরে হয়। এবং এভাবে কেউ চিন্তাও করে না। আমাদের জন্য সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সব ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে নামি। সব সময় সম্ভব হয় না। তবে আমাদের সামর্থ্য আছে জয়ের। প্রসেস ঠিক রাখতে পারলে হোমে আমাদের ভাল ফলাফল আনা সম্ভব। * ব্যাটসম্যান- -আমরা পারফর্ম করতে পারছি না এটা একটা ভুল কথা। কারণ ওয়ানডে রেকর্ড পরপর দুই ম্যাচে হারছি কিন্তু এর আগে তো টানা পাঁচ-ছয় ম্যাচ জিতে আসছি। আমাদের পারফর্মেন্স নিয়ে যদি কেউ কথা বলে তাহলে তার আগে রেকর্ড জানা দরকার।
×