ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্রিম টিকেট পেতে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৪ জুলাই ২০১৫

অগ্রিম টিকেট পেতে  চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে  উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঈদ সামনে রেখে চলছে শহর ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি। এবার ঈদের ছুটির মধ্যে ঢুকে গেছে সাপ্তাহিক ছুটি। শুক্রবার থেকে এই ছুটি শুরু হলেও প্রচুর সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়ে যাবে আজ মঙ্গলবার বিকেলেই। কারণ পরদিন বুধবার শবে কদরের ছুটি। মাঝে একদিন মাত্র কর্মদিবস। অনেকেই বৃহস্পতিবারের এই দিনটি ছুটি নিয়ে যাত্রা করছেন স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঈদ উৎসব উদযাপন করতে। ফলে রেলস্টেশনে সোমবার অত্যাধিক চাপ পরিলক্ষিত হয়। এদিন অগ্রিম টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থেকে অনেক কষ্টও সহ্য করতে হয়। একটি টিকেট যেন সোনার হরিণ। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সোমবার ভোর থেকেই দেখা যায় অগ্রিম টিকেট সংগ্রহের জন্য আসা যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। এদিনই ছিল অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষ দিন। আগামী শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে বিধায় স্টেশনে এদিন বেশ চাপ পড়ে। গত বুধবার শুরু হয় অগ্রিম টিকেট বিক্রির কার্যক্রম। প্রথমদিকে চাপ কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা তীব্র আকার ধারণ করে। ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ। একটি টিকেট পেতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হলেও লাইনে সামনের দিকে থাকতে অনেকে ভোর রাতে সেহেরি খেয়েই উপস্থিত হন স্টেশনে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রথম দু’দিনে ৮টি আন্তঃনগর ট্রেনে চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ২শ’ আসন। চাহিদা বেড়েছে বিধায় তৃতীয় দিন বরাদ্দ রাখা হয় ৫ হাজার ৩৭৯টি আসন এবং শেষ দিন সোমবার বরাদ্দ রাখা হয় ৫ হাজার ৭০৭টি আসন। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বিষয় বিবেচনায় রেখে অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করা হচ্ছে। সোমবার ছিল অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষ দিন। ফলে এদিন রেলস্টেশন লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। ঈশ্বরদীতে হিমশিম তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী থেকে জানান, পাওয়ার, কোচ সঙ্কট ও অসংখ্য স্টেশন বন্ধ থাকার কারণে ঈদ উপলক্ষে ঘরফেরা যাত্রীর চাপে পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। এমনিতেই এই বিভাগের ৬০টি স্টেশন আগ থেকেই বন্ধ হয়ে যাওযায় সঙ্কটের মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল করছিল। তার ওপর ঈদ আসন্ন হওযায় যাত্রীর চাপে রেল কর্তৃপক্ষ বেশামাল হয়ে পড়েছেন। মাস্টার সঙ্কটের কারণে গত ১২ জুলাই হালশা ও মুলাডুলি স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ যাত্রী সেবার মানসে অস্থায়ীভাবে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্টেশন দুটি ঈদের পরে বন্ধ ঘোষণা করবেন।
×