ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতের বাজারে নিসানের স্বয়ংক্রিয় গিয়ার বদল ব্যবস্থার গাড়ি

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৪ জুলাই ২০১৫

ভারতের বাজারে নিসানের স্বয়ংক্রিয় গিয়ার বদল ব্যবস্থার গাড়ি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নত দুনিয়ার মতো ভারতেও কম দামি গাড়ির বাজারে বাড়ছে স্বয়ংক্রিয় গিয়ার বদল ব্যবস্থার ব্যবহার। সেই দলে এ বার পা মেলাচ্ছে জাপানী সংস্থা নিসানও। তাদের মাইক্রা গাড়ির নতুন কম দামি সংস্করণেও সেই প্রযুক্তি আনল তারা। গিয়ার বদলের ঝামেলা এড়াতেই স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির চল উন্নত দুনিয়ায় বেশি। ভারতের মতো দেশে যেখানে রাস্তা অপরিসর, লেগেই আছে যানজট, সেখানে বারবার ‘ক্লাচ পেডাল’ ব্যবহার করে গাড়ির গতির সঙ্গে গিয়ার বদল রীতিমতো ঝঞ্ঝাটের। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় গিয়ার বদল ব্যবস্থার খরচ বেশি হওয়ায় উন্নত দুনিয়ায় তা সহজলভ্য হলেও ভারতের বাজারে তার চাহিদা তেমন ছিল না। কিন্তু ক্রমশ সেই চাহিদা বাড়ছে। তাই মারুতি-সুজুকি, টাটা মোটরস, হুন্দাইয়ের মতো সংস্থা কম দামি গাড়িতেও ধীরে ধীরে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। নিসানের এমডি অরুণ মলহোত্র জানান, দু’বছর আগে এ ধরনের গাড়ির চাহিদা ১ শতাংশ থাকলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩.৫ শতাংশ। তাই সেই বাজার ধরতে মাইক্রার নতুন সংস্করণ, ‘এক্স এল’ এনেছেন তারা। দামের দিক দিয়ে এটি মাইক্রার সব চেয়ে দামি সংস্করণ ‘এক্সভি’-র চেয়ে ঠিক নিচের ধাপেই থাকবে। সম্প্রতি কলকাতায় সেই গাড়িটি প্রদর্শন করে তারা জানান, এখানে এর দাম পড়বে ৬.৫৭ লক্ষ টাকা। সংস্থার দাবি, অন্য সংস্থা যে ধরনের ‘অটোম্যাটিক ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন’-এর সুবিধা দিচ্ছে, তাদের চেয়ে নিসানের প্রযুক্তি অনেক উন্নত এবং পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। প্রঙ্গত, সংস্থার ভারতে ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ করে ৭৫০টি বিশেষ ধরনের (লিমিটেড এডিশন) ‘মাইক্রা এক্স শিফ্ট’ গাড়িও বাজারে এনেছে তারা। এখনও সংস্থা ভারতের বাজারে যত গাড়ি বিক্রি করে, রফতানি করে তার দ্বিগুণ। দুই বাজারই তাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ দাবি করলেও এমডি জানান, ভারতের বাজারের সর্বত্র দ্রুত গাড়ির যন্ত্রাংশ পৌঁছে দিতে তারা আঞ্চলিক যন্ত্রাংশ বণ্টন কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা নিয়েছেন। প্রথমটি চালু হয়েছে গুড়গাঁওয়ের মানেসরে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এতদিন চেন্নাই থেকে উত্তর ভারতে যন্ত্রাংশ পৌঁছে দিতে সময় লাগত প্রায় ন’দিন। কিন্তু ওই কেন্দ্রে মজুত যন্ত্রাংশ অনেক কম সময়ে গোটা উত্তর ভারতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। এভাবেই পূর্ব ও পশ্চিম ভারতের বাজারের জন্যও বণ্টন কেন্দ্র চালু করবেন তারা। এখন ভারতের বাজারে নিসানের অংশীদারি মাত্র ২ শতাংশ। আগামী তিন-চার বছরে মধ্যে তা পাঁচ শতাংশে নিয়ে যাওয়াই সংস্থার লক্ষ্য।
×