ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুনতাসীর মামুন

আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের দুর্বৃত্তায়ন

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৩ জুলাই ২০১৫

আক্রান্ত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও ধর্মের  দুর্বৃত্তায়ন

মক্কায় হজ করতে গেলে ছোট একটি পুস্তিকা দেয়া হয় সবাইকে। বাঙালীদের জন্য বাংলা ভাষায় লেখা। সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত। সেখানে লেখা আছেÑ ‘কোন মুসলিম পুরুষের জন্য যে কোন কারণেই হোক না কেন, কোন মহিলার পাশে অথবা তার পেছনে দাঁড়িয়ে মসজিদ-উল হারাম বা অন্য যে কোন মসজিদে নামাজ আদায় করা উচিত নয়। অবশ্য এ অবস্থা হতে বেঁচে থাকার সমর্থ না থাকলে অন্য কথা।’ তা মসজিদে হারামে নামাজ পড়ার জন্য কাতারবন্দী হয়েছি। সামনে দেখি বেশ কয়েকজন মহিলা, তাদের পাশে পুরুষও আছেন। [বিস্তারিত চতুরঙ্গ পাতায়, পৃষ্ঠা-৭] সেজদা দিচ্ছি, দেখি সোমালী কয়েকজন মহিলা আমাকে ডিঙিয়ে অন্য কোথায় স্থান পাওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখছেন। একজন মুসল্লিকেও আমি বেদাআত বলতে শুনিনি। যেই হেজাব নিয়ে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কথা তুলছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বলি, ঐ পুস্তিকায় লেখা হয়েছেÑ ‘ইহরাম অবস্থায় মহিলাদের জন্য হস্তদ্বয়ের দস্তানা (হাত মোজা) পরিধান করা এবং নেকাব বা বোরকা দ্বারা মুখ ঢাকা হারাম। তবে মাহরাম নয় এমন পরপুরুষের উপস্থিতিতে ওড়না অথবা ঐ জাতীয় জিনিস দ্বারা চেহারা ঢাকা ওয়াজিব, যেমনিভাবে ইহরামের অবস্থা ছাড়াও পরপুরুষের উপস্থিতিতে ওড়না বা অনুরূপ কাপড় দ্বারা মুখ আবৃত করা ওয়াজিব।’
×