ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাল থেকে সদরঘাট টার্মিনালে অগ্রিম টিকেট শুরু

অগ্রিম ট্রেনের টিকেট বিক্রির শেষ দিন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৩ জুলাই ২০১৫

অগ্রিম ট্রেনের টিকেট বিক্রির শেষ দিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কমলাপুর রেলস্টেশনে এত মানুষের ভিড় হয়ত এর আগে কখনই হয়নি। কেউ ভাবতেও পারেনি ট্রেনের টিকেটের জন্য এত টিকেট প্রত্যাশীর ঢল নামবে, যা ভাবনার বাইরে ছিল, ঘটলও তাই। ১৬ জুলাইয়ের ট্রেনের অগ্রিম টিকেট নিতে ১২-১৬ ঘণ্টা আগে লাইনে দাঁড়ান অনেকে। রাতভর প্ল্যাটফরমেই রাত কাটিয়েছেন মানুষ। আন্তঃনগর ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের জন্য মাত্র নয় হাজার ৩৫টি টিকেট। আর এ টিকেট পেতে ঘুম হারাম করে যুদ্ধে নামেন প্রায় তিনগুণ যাত্রী। টিকেট না পেয়ে বেশিরভাগ মানুষকে শূন্যহাতে ঘরে ফিরতে হয়েছে। অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষ দুই দিনে এ যুদ্ধ যেন প্রকট আকার ধারণ করেছে! সোমবার শেষ দিনে ভিড় আরও বাড়তে পারে! টিকেট কালোবাজারি করায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে আজ সকাল থেকে ট্রেনে অগ্রিম টিকেট নেয়া যাত্রীরা বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা শুরু করবেন। সোমবার তৃতীয় দিনের মতো বিআরটিসি বাসের সন্তোষজনক টিকেট বিক্রি হয়েছে। তবে এখনও পর্যাপ্ত টিকেট থাকার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। ১৪ জুলাই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকেট দেয়া শুরু হবে। ১৬ জুলাই অফিস শেষে সরকারী-বেসরকারী বেশিরভাগ অফিস ছুটি। তাই ১৫, ১৬ ও ১৭ জুলাই পর্যন্ত টিকেটের চাহিদাও বেশ। বিশেষ করে শেষ দুই দিনে সোনার হরিণ টিকেট পেতে মরিয়া ঘরমুখো মানুষ। ট্রেন, বাস, লঞ্চ থেকে শুরু করে বিমানের টিকেট নিতেও সর্বোচ্চ চেষ্টা সবার। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই এই ত্যাগ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের সময় ৮০ লাখের বেশি মানুষ রাজধানী ছেড়ে যায়। এর মধ্যে শেষ তিন দিনে প্রতিদিন যায় ১৫ লাখের বেশি মানুষ। তাই শেষ দিনের প্রস্তুতি বেশিরভাগ মানুষের। বিপুল মানুষের টিকেটের চাহিদা মেটাতে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়েও উদ্যোগের কমতি নেই। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতা যে আছে, কিংবা ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির বিষয়টি বলতেই হবে। রবিবার কমলাপুর স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, চতুর্থ দিনের টিকেটের জন্য স্টেশনজুড়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ভোরেই লাইন প্ল্যাটফরম ছাড়িয়ে আসে রাস্তায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ে আরও। বিপুল পরিমাণ মানুষ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রীতিমতো হিমশিম খায়। যাত্রীদের হৈ-হুল্লোড়, চেঁচামেচি থেকে শুরু করে নানা অভিযোগ তো আছেই। ১৭ নম্বর মহিলা কাউন্টারে বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। ১৮ নম্বর কাউন্টার থেকে দেয়া হয় অনলাইনের টিকেট। চতুর্থ দিনেও অনলাইনের টিকেট পেতে যাত্রীদের বিড়ম্বনায় ভুগতে হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। যাত্রীদের দাবি প্রতিবছর ঈদের সময় নির্দিষ্ট ২০টি কাউন্টার থেকেই টিকেট বিক্রি হয়। বুথ না বাড়ানোর কারণে টিকেটপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি বাড়ে। তাছাড়া দিনদিন টিকেট নিতে আসা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু বুথ বাড়ে না। বিশেষ ব্যবস্থায় আরও অন্তত ১০টি বুথ স্থাপনের দাবি সবার। অনেকে বলছেন, সকাল ৬টা থেকে টিকেট দিলে দুর্ভোগ কমত। অনলাইনে টিকেট বরাদ্দ বেশি রাখারও দাবি কারও কারও। কমলাপুর থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের মোট টিকেটের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে অনলাইন মোবাইলের জন্য বরাদ্দ তিন হাজার ২৩৯ টিকেট। এ ছাড়া ভিআইপি কোটায় ৭৩৩ ও রেলওয়ে স্টাফদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ ৭৩২টি টিকেট। সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত কোটায় টিকেট বিক্রি হবে নয় হাজার ৩৫টি, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এদিকে যাত্রার দিন থেকে স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রির কথা জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা। কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, টিকেট বিক্রির শেষ দুই দিন অতিরিক্ত চাপ থাকে। প্রত্যেক বছরই এমন চিত্র দেখা যায়। তবে এবার কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বেশি থাকায় সবাইকে টিকেট দেয়া যাবে নাÑ এটাই স্বাভাবিক। বেশিরভাগ যাত্রী চারটি টিকেট কাটেন। এ হিসেবে একদিনে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন সর্বোচ্চ আড়াই হাজার মানুষ। বাকিরা টিকেট না পেয়ে বাসায় ফিরেন। তাছাড়া নিরাপদ যাত্রার জন্য সবার আগে মানুষের পছন্দ রেলপথে যাওয়া। এটিও অতিরিক্ত চাহিদার অন্যতম কারণ। টিকেট বিক্রের ১৬ ঘণ্টা আগে লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল দিয়েছেন টঙ্গী থেকে আসা পাভেল। তার সঙ্গে আসেন আরও তিন বন্ধু কল্লোল, রুবেল ও শাহীন। সবাই খুলনার যাত্রী। তারা জানান, ১৭ জুলাইয়ের টিকেট নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন অন্তত ১৬ ঘণ্টা আগে। ভিড়ের চাপে অস্থির। তবুও উপায় নেই। রাতভর কেটেছে গল্প করে। একজন লাইনে-তিনজন পত্রিকা বিছিয়ে ঘুম। পালাক্রমে ঘুমিয়েছেন তারা। বেলা ১১টার দিকে হাতে টিকেট পেয়ে সবাই খুশি হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মহানগর প্রভাতীর টিকেট কাটার জন্য আগের দিন কমলাপুরে এসে সিরিয়াল দিয়েছেন কল্যাণপুরের মোঃ খাজা। টিকেট পেয়েছেন তিনি। খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ রুটের টিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই এসব গন্তব্যের যাত্রীরা এসি ও কেবিন সংগ্রহ করতে পারেননি বলেই চলে, বেশির ভাগই পেয়েছেন শোভন। আবার না পেয়ে ফিরেছেন অনেকেই। রাতজাগা মানুষের কষ্ট নিমিষেই চলে যায়, যখন সোনার হরিণ নামক টিকেটটি হাতে আসে। এই যেমন স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট পাওয়ার পর উচ্ছ্বাসে কেঁদে ফেললেন মুগদা থেকে আসা গৃহিণী শারমিন আক্তার। ১৬ জুলাইয়ের রাজশাহীগামী সিল্কসিটির টিকেট পেয়ে যেন নিজের আবেগ আর ধরে রাখতে পারলেন না। বাসাবো থেকে আসা আরেক যাত্রী শম্পা জানান, হাওড় এক্সপ্রেসের মোহনগঞ্জের টিকেট কাটতে এসেছিলেন তিনি। তীব্র গরমের মধ্যে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা। তারপর মিলল টিকেটের দেখা। তবও খুশি। স্বামী-সন্তান নিয়ে বাড়ি যাওয়া এবারের মতো নিশ্চিত। কমলাপুর স্টেশনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি কাউন্টার রয়েছে। স্টেশনে আসা আগতরা নারীদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আরও দুটি বাড়ানোর দাবি জানান। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময় পাঁচদিন। ৯, ১০ এবং ১১ জুলাই বিক্রি হয়েছে ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখের টিকেট। ১২ জুলাই বিক্রি হয় ১৬ জুলাইয়ের টিকেট। আজ ১৩ জুলাই ১৭ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হবে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ১৬ জুলাই থেকে। ওই দিন বিক্রি হবে ২০ জুলাইয়ের টিকেট, ১৭ জুলাই ২১ জুলাইয়ের, ১৮ জুলাই ২২ জুলাইয়ের, ১৯ জুলাই ২৩ জুলাইয়ের ও ২০ জুলাই বিক্রি হবে ২৪ জুলাইয়ের ফিরতি অগ্রিম টিকেট। এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে ঈদের তিন দিন আগে (১৫-১৭ জুলাই) এবং ঈদের পাঁচ দিন পরে (২০-২৬ জুলাই, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল) ৫ জোড়া ও ঈদের দিন শোলাকিয়া স্পেশাল ২ জোড়া মোট ৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়ে থাকে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রতিদিন আড়াই লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে রেলওয়ের পক্ষ থেকে। তৃতীয় দিনের মতো সরকারী বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়েছে। রবিবার বিক্রি হলো ১৬ জুলাইয়ের টিকেট। পর্যায়ক্রমে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত টিকেট বিক্রি চলবে। কমলাপুর বিআরটিসি টার্মিনালের ডিপো ম্যানেজার নায়েব আলী জনকণ্ঠকে জানান, তৃতীয় দিনের টিকেট বিক্রি সন্তোষজনক। ঈদে শেষমুহূর্ত হওয়ায় চাহিদাও বেশি। তবে এখনও দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার টিকেট রয়েছে। যাত্রীরা রাতেও ডিপো থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। এমনিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টিকেট বিক্রি হয়ে থাকে। রাজধানীর রামপুরা টেলিভিশন ভবনসংলগ্ন এলাকা থেকে সাইফুল বারী (২৫) নামে এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনের ৫টি টিকেট উদ্ধার করা হয়। ক্রেতা সেজে রামপুরা টিভি ভবনের সামনে থেকে ওই কালোবাজারিকে আটক করা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, আটক সাইফুল বারী ঢাকা-রাজশাহী রুটের সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের পাঁচটি টিকেট অনলাইন মার্কেটে প্লেস বিক্রয় ডটকমে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। ক্রেতা সেজে মুঠোফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে দেখা করি। পাঁচটি টিকেটের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা হলেও সাইফুল বারী ৮ হাজার টাকা দাম চেয়েছেন। তাকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর আগে সকালে কালোবাজারে টিকেট বিক্রির সময় আরও একজনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে পরিবহন শ্রমিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎসব বোনাস দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিপ্লবী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী রেজা। সংগঠনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে কারও ভাবনা নেই। তারা সারাবছর কষ্ট করেও ঈদ বোনাস পান না। অনেক মালিক প্রতিশ্রুতি দিয়েও খালি হাতে শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের ফিরিয়ে দেন। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে পরিবহন সেক্টরের সকল শ্রমিকদের ঈদ বোনাস নিশ্চিত করার দাবি জানান। চট্টগ্রামেও শেষ দিন আজ ॥ স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, কেউ তারাবীর পর, আবার কেউবা সেহ্রির পর চট্টগ্রাম স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে বা বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। ট্রেনে গন্তব্যে পৌঁছার উদ্দেশ্যেই মূলত যাত্রী বা তার পরিবারের সদস্য দীর্ঘ বারো ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিতের পর ট্রেনের টিকেট মিলছে। চট্টগ্রাম থেকে আটটি আন্তঃনগর ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেনসহ ৯টি ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির ৫ দিনব্যাপী কার্যক্রমের শেষদিন আজ সোমবার। বরাদ্দ টিকেট বিক্রির পর কর্তৃপক্ষ পাঁচগুণ স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি করায় হয়রানিতে পড়ে আসনের যাত্রীরা। চাপের মুখে অনেকেই নিজ নিজ আসনে পৌঁছতে পারেন না। আজ ১৩ জুলাই থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রির প্রক্রিয়ায় গন্তব্যে যাত্রা শুরু হচ্ছে। ১৩ ও ১৪ জুলাইয়ের বেশকিছু টিকেট রবিবারও অবিক্রীত ছিল। তবে সোনার হরিণ হয়ে গেছে ১৫, ১৬ ও ১৭ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকেট। অগ্রিম টিকেট প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে যাত্রীরা ভোগান্তির প্রথমধাপ পেরিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ধাপ হলো ট্রেনে উঠে নিজ আসনে বসে আদৌ গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন কিনা, সে নিয়েও শঙ্কা রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। শেষ তিন দিনের অগ্রিম টিকেট যেমন সোনার হরিণ, তেমনি ট্রেনে আসন পাওয়াটাও তত কঠিন। কারণ ট্রেনের ভেতরে এ তিন দিনের যাত্রায় তিলধারণের ঠাঁই থাকবে না। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে যাত্রীরা জানিয়েছেন, ট্রেনের পা-দানি, কোচের সংযোগস্থল, পাওয়ার কার, খাবার গাড়ি, ইঞ্জিন এমনকি ছাদেও যাত্রী থাকে আসনের বাইরে। আর প্রত্যেক কোচের করিডরে অবস্থান নেয় আসনেরও তিনগুণ বেশি যাত্রী। এর কারণ হচ্ছে, রেল কর্তৃপক্ষ আসন সংখ্যার তিনগুণেরও বেশি স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি করে। এ টিকেট পাওয়া যায় ট্রেন ছাড়ার একঘণ্টা পূর্বমুহূর্তে। এ বিষয়টিও অনেকেরই অজানা রয়েছে। একযাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, স্ট্যান্ডিং টিকেটের বিষয়টি যদি সকলের জানা থাকত তাহলে প্রত্যেক কোচে যাত্রীর সংখ্যা হবে ৫ গুণেরও বেশি। কারণ অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ব্যতীত ট্রেন চলাচল যদি একপায়েও দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গন্তব্যে পৌঁছার বাসনায় উঠে পড়েÑ তাহলেও নিশ্চিত বাড়ি ফেরা যাবে।’
×