ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে চরম অর্থ সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১৩ জুলাই ২০১৫

খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে চরম অর্থ সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ চরম অর্থ সঙ্কটে রয়েছে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহ। মিলগুলোতে পাট নেই। পাট কেনার টাকাও নেই। অর্থের অভাবে শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মজুরি ও বেতন বকেয়া পড়েছে। মিলে পাট, যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহকারী ঠিকাদার ব্যবসায়ীদের প্রচুর টাকা পাওনা রয়েছে। পাওনাদার সকল মহল থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। আসন্ন ঈদের আগেই খুলনা অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মজুরি, বেতন ও উৎসবভাতা এবং সরবরাহকারী ঠিকাদারদের পাওনা মেটাতে প্রয়োজন প্রায় দেড় শ’ কোটি টাকা। অবিলম্বে এ টাকার সংস্থান না হলে মিলগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) আওতায় খুলনা অঞ্চলে পাটকল রয়েছে ৯টি। এর মধ্যে খুলনার আলিম জুট মিলটি ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। বর্তমানে ওই মিলটির উৎপাদন বন্ধ থাকলেও শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বকেয়া পাওনা রয়েছে। বাকি খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, স্টার, খালিশপুর, দৌলতপুর ও ইস্টার্ন এবং যশোরের নওয়াপাড়ায় অবস্থিত যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) ও কার্পেটিং জুট মিলে মোট শ্রমিক রয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক ২০ হাজার ও অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এ সকল শ্রমিকদের ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাকি এক মাসের অধিক। শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বকেয়া পাওনার সঙ্গে দিতে হবে উৎসব ভাতা (ঈদ বোনাস)। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ ছাড়া মিলগুলোর কাছে ঠিকাদার, পাট সরবরাহকারীদের বকেয়া পাওনাও রয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ঈদের আগে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোতে প্রয়োজন প্রায় দেড় শ’ কোটি টাকা। কিন্তু মিলগুলোর কাছে কোন টাকা নেই। সূত্র জানায়, মিলগুলো চালু রাখার জন্য সরবরাহকারীদের নিকট থেকে বাকিতে পাট কেনা হচ্ছে। মিলের উৎপাদন হ্রাসের কারণে পাটজাত পণ্যে উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মিলগুলোকে পূর্ণাঙ্গরূপে সচল রাখতে হলে জরুরীভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন।
×