ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ ভাগ কমানো হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১২ জুলাই ২০১৫

রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ ভাগ কমানো হচ্ছে

এম শাহজাহান ॥ গার্মেন্টস খাত ঠিক রেখে সামগ্রিক রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এবার কিছুটা কমানো হচ্ছে। গত অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহিংসতায় বিশ্ববাজারে চরম ভাবমূর্তি সঙ্কট তৈরি হয়। কমে যায় রফতানি। সেই ধাক্কা না সামলাতেই আরেকটি অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। অতিরিক্ত ঋণের কারণে সর্বশেষ গ্রিসে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই বিপর্যয়ে ইউরোজোনে বিরাজ করছে অস্বস্তি। আর এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে রফতানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, প্রতিবছর রফতানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এবার তা ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর বা ভিশন-২১ সামনে রেখে লক্ষ্যমাত্রা রিভাইসড করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে তা বাড়িয়ে করা হবে। তাঁরা বলছেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমলেও এর প্রভাব পড়বে না দেশের রফতানি খাতে। বরং সরকারের বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে পোশাক রফতানি বাড়বে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, এটা ঠিক চলতি অর্থবছর রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এর আগে এটা সব সময় ১০ শতাংশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের রাজনৈতিক সহিংসতায় আন্তর্জাতিক বাজারে ভাবমূর্তি সঙ্কট তৈরি হয়। প্রতিনিয়ত দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে একটি গোষ্ঠী। এছাড়া বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি মন্দার আশঙ্কা রয়েছে। এসব দিক মাথায় রেখে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। তিনি বলেন, ভিশন-২১ সামনে রেখে ইতোপূর্বে পোশাক রফতানির ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এসব বিষয় ঠিক রেখেই এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এদিকে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র জানিয়েছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কমছে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার।
×