ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

থাইল্যান্ড ফেরত উইঘুরদের নিয়ে মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১২ জুলাই ২০১৫

থাইল্যান্ড ফেরত উইঘুরদের নিয়ে মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগ

থাইল্যান্ড থেকে বিতাড়িত হওয়ার একদিন পর ১শ’র বেশি চীনা মুসলিম শুক্রবার এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের সম্মুখীন হয়েছে। এক মানবাধিকার গ্রুপ এ কথা বলেছে। বেজিংয়ে কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনের। ১শ’ ৯ জন উইঘুর মুসলিম শরণার্থীকে চীনে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রচ-ভাবে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে থাইল্যান্ডের সামরিক সরকার। থাই সরকারের যুক্তি হচ্ছে, উইঘুরদের সঙ্গে কেবল চীনা কাগজপত্র ছিল। মানবাধিকারকর্মী ও অন্যদের অভিযোগ, চীনের পশ্চিমাঞ্চলে তুর্কিভাষী এ সংখ্যালঘ মুসলিম উইঘুরদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক রীতিনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে এর নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা এ উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছে। তুরস্কে থাই ও চীনা দূতাবাসের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। সেখানে উইঘুরদের বিষয়ে এমশ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে কয়েক শ’, সম্ভবত কয়েক হাজার উইঘুর চীন থেকে পালিয়ে গেছে। কর্মকর্তাদের দাবি, এদের মধ্যে কেউ কেউ চরম ইসলামপন্থী আদর্শ এবং বিশ্বব্যাপী জিহাদের ধারণায় অনুপ্রাণিত হয়েছে। কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষের ওপর সহিংস হামলা চালানোর অভিযোগ আনেন তাদের বিরুদ্ধে। থাই সরকার বলেছে, যে উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে বেজিং। থাই সরকার আরও উল্লেখ করেছে, যাই বন্দীশিবিরগুলোতে আটক সব উইঘুরকে ফেরত পাঠানোর জন্য চীনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে ব্যাংকক। সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, থাইল্যান্ডে সব উইঘুর মুসলিমকে ফেরত পাঠাতে বলেছে চীন। আমরা বলেছি, আমরা তা পারব না। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমরা তাদের ফেরত পাঠালে সমস্যা দেখা দেবে। তা তো আমাদের ত্রুটি নয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ওই উইঘুরদের মধ্যে যারা মারাত্মক অপরাধ করেছে বলে সন্দেহ করা হবে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে। জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসকে বলেছে, কিছুসংখ্যক উইঘুর চীনে অপরাধ সংঘটিত করে পালিয়ে গেছে এবং কেউ কেউ সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত। মন্ত্রণালয় জানায়, অনেকেই থাইল্যান্ড হয়ে তুরস্কে যাওয়ার পরিকল্পনা করে এবং এরপর সন্ত্রাসী সংগঠন ও তথাকথিত জিহাদে যোগ দেয়ার জন্য সিরিয়া ও ইরাক যায়। গ্লোবাল টাইমস জানায়, কোন একটি দেশ উইঘুরদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করছে এবং তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ উল্লেখ করছে। এভাবে তারা অবৈধভাবে চীন ত্যাগে উৎসাহিত হচ্ছে। দেশটির নাম উল্লেখ করা না হলেও এটা স্পষ্ট যে, দেশটি তুরস্ক।
×