ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমতলীতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১১ জুলাই ২০১৫

আমতলীতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১০ জুলাই ॥ আমতলীর চারটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাসে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই শিক্ষার্থীর রোল নম্বর গোপনে ওই কলেজ ও মাদ্রাসাকে চয়েজ দেখিয়ে এসএমএস পাঠিয়ে গোপন আইডি নম্বর গোপন রেখেছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কোন ধরনের যোগাযোগ নেই। তাদের কলেজ ও মাদ্রাসায় ভর্তিতে বাধ্য করতে এ কাজ করেছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছে। একই রোল নম্বরে বার বার এসএমএস পাঠালেও তাদের গোপন আইডি ও (পাস ওয়ার্ড) ওপিটি নম্বর না আসায় দু’শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, আমতলী ডিগ্রী কলেজে দু’শতাধিক ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি করানোর জন্য ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করে। এদের বোর্ডে এসএমএস পাঠানোর দায়িত্ব নেয় ওই কলেজ। কলেজ কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস পাঠালে ওই শিক্ষার্থীদের গোপন আইডি নম্বর ও ওপিটি নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরে শুরু হয় কারণ অনুসন্ধান। অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, কয়েকটি কলেজ ও মাদ্রাসা এসএসসি ফল প্রকাশের পরে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে তারা নতুন পদ্ধতিতে ভর্তি করানোর জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে বোর্ডে ওই কলেজ ও মাদ্রাসার নামে মোবাইলে এসএমএস করে। এবং গোপন আইডি ও ওপিটি নম্বর সুকৌশলে গোপন রাখে। এদিকে ওই সকল শিক্ষার্থী নিজের পছন্দ মতো আমতলী ডিগ্রী ও বকুলনেছা মহিলা কলেজে ভর্তির জন্য মোবাইল এসএমএস করেছে। এতে দেখা দিয়েছে জটিলতা। ২৩২০১৯, ২৩২০১৪, ২৩২০১১ রোল নম্বরধারী ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা চরকগাছিয়া ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম কলেজে ভর্তির জন্য মোবাইলে এমএমএস করেনি। কিন্তু ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ স্কুল থেকে রোল নম্বর সংগ্রহ করে গোপনে মোবাইল এসএমএস করে ভর্তি করেছে। একইভাবে ওই কলেজে কর্র্তৃপক্ষ পঞ্চাশেরও বেশি শিক্ষার্থীর মোবাইল এসএমএস করে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। একই ঘটনা ঘটিয়েছে চাওড়া নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসায়। ওই মাদ্রাসার ৪২৯৮৮১, ৪২৯৮৮৩, ৪২৯৮৮২ রোল নম্বরসহ শতাধিক শিক্ষার্থীর গোপন নম্বর রেখে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
×