ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালার খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৭ জুলাই ২০১৫

জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালার খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন ২৩৫ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০১৫-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি এক বছরের কারাদ- ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সচিব বলেন, এ নীতিমালায় একটি ভিশন, দশটি উদ্দেশ্য, ৫৪ কৌশলগত বিষয়বস্তু এবং একটি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ৫ হাজার ২৭৫ ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। নীতিমালার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সচিব বলেন, তিনটি ধাপে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৬ সালের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী, ২০১৮ সালের মধ্যে মধ্যমেয়াদী ও ২০২১ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পৌঁছানোর ভিশন রয়েছে। নীতিমালার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এতে দশটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেগুলো হলোÑ সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা, নীতির প্রতি আস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা, রফতানি উন্নয়ন, আইসিটি সহায়ক স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু প্রভৃতি। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ॥ এক বছরের কারাদ- ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’ ২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা-২০১৫ এর খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৩ সালে এটি মন্ত্রিসভায় উঠানো হয়েছিল। সেই সময়েও নীতিগত অনুমোদন দিয়ে কিছু সংশোধনীর সুপারিশ করা হয়েছিল। যা পুনরায় মন্ত্রিসভায় তোলা হয় এবং চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার পর্যটন নগরী হওয়ায় এখানকার উন্নয়নে কাজ করবে এ কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন ১৫। এর মধ্যে চারজন পূর্ণকালীন এবং ১১ জন খ-কালীন থাকবেন। স্থানীয় পৌর মেয়র, স্থানীয় প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন। এ কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার এলাকা জরিপ, সমীক্ষা, তথ্য সংগ্রহ, মাস্টার প্ল্যান তৈরি ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি নগর পরিকল্পনায় অংশ নেবেন। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তপক্ষ ডেভেলপমেন্ট ও রেগুলেশনেরও কাজ করবে।
×