যশোরে চাঁদা না পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, লুটপাট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চাঁদার দাবিতে এক বাড়িতে হানা দিয়ে দুর্বৃত্তরা এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং বাড়ির সদস্যদের নগ্ন করে ছবি তুলেছে। একইসঙ্গে তারা বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে টাকা, এটিএম কার্ড, মোটরসাইকেল, ব্যাংকের কাগজপত্র নিয়ে গেছে। ধর্ষণের পর ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। শহরের সিটি কলেজপাড়ার ফজলুল হক বাবুর ভাড়া বাড়িতে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশের ভাষ্য মতে, যশোর সিটি কলেজের পিছনের ফজলুল হক বাবুর ভাড়া বাড়িতে ওই কিশোরী কাজ করত। শুক্রবার রাতে তারাবি নামাজের সময় চাঁদার দাবিতে ওই বাড়িতে হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় বিদ্যুত লাইন বন্ধ করে দেয় এবং মহিলাদের মারপিট করে দুর্বৃত্তরা। পরে নামাজ আদায় শেষে বাসায় ফেরার পর ফজলুল হক বাবুকে চাঁদা দাবির এক পর্যায়ে ‘নগ্ন’ করে মারপিট করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় গৃহপরিচারিকা ওই কিশোরীরও জামা কাপড় খুলে নগ্ন করে ছবি তোলে তারা। এরপর ইব্রাহিম নামের এক যুবক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর শনিবার ভোরে ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ফজলুল হক বাবুর স্ত্রী আমেনা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, রাতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৮/৯ জন তাদের বাড়িতে গিয়ে মারপিট ও লুটপাট করেছে। এর মধ্যে ইব্রাহিম মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। এ খবর পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আক্কাস আলী এসআই মিরাজ মোসাদ্দেককে তদন্ত করতে পাঠান। শনিবার দুপুরে পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। বাড়ির লোকজন এবং চিকিৎসাধীন মেয়ের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আক্কাস আলী মুঠোফোনে বলেন, হামলা ও লুটপাটের পর দুর্বৃত্তরা ছবি তুলেছে।