ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিনে তৃপ্ত পেরু

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৫ জুলাই ২০১৫

তিনে তৃপ্ত পেরু

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল পেরু। আর শেষ পর্যন্ত প্যারাগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করল পেরু। শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে মুখোমুখি হয়েছিল শক্তিশালী দুই দল। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে উভয় দল, যে কারণে প্রথমার্ধে কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে শেষ পর্যন্ত পেরু সহজেই হারায় প্যারাগুয়েকে। এই জয়ের ফলে কোপা আমেরিকায় সপ্তমবারের মতো তৃতীয় স্থান অর্জন করল ৬১ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী এবং ‘দ্য হোয়াইট এ্যান্ড রেড’খ্যাত পেরু। অন্যদিকে কোপা আমেরিকায় সপ্তমবারের মতো চতুর্থ হলো প্যারাগুয়ে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের ৮৫তম স্থানে অবস্থান প্যারাগুয়ের। উভয় দলের এটা ছিল ৪৯তম লড়াই। পেরু জিতল দ্বাদশবারের মতো। কোপা আমেরিকায় দুই দলের জন্যই এটা ছিল সপ্তদশ দ্বৈরথ, যাতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জিতল পেরু। লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ হিসেবেই পরিচিত কোপা আমেরিকা। আর টুর্নামেন্টের ৪৪তম আসরের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি শনিবার ভোরে চিলির এস্তাদিয়ো মিউনিসিপালে ডি কনসেপশন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ৬-১ গোলে হেরে বিধস্ত হয়েছিল প্যারাগুয়ে। সেই হারের ধাক্কা সামলাতে যে পারেনি, তারই প্রমাণ প্রতিপক্ষের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়েও পেরুর কাছেও তাদের এই হার। একাধিক গোলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ না হলে পেরুর গোলসংখ্যা আরও বেশি হতে পারত। ম্যাচের প্রথম থেকেই প্যারাগুয়ের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে পেরু। পরে প্যারাগুয়েও পাল্টা আক্রমণ করে খেলে ম্যাচটি জমিয়ে তোলে। তবে বল নিয়ন্ত্রণে অবশ্য পেরুই এগিয়েছিল। তারা এদিন ৫১ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল। প্রথমার্ধে কোন গোলের দেখা না পাওয়া পেরু দ্বিতীয়ার্ধেই জ্বলে ওঠে। বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোলের দেখা পায় পেরু। ৪৮ মিনিটে রেইনা কর্নার করেন। সেই উড়ে আসা বল বিপদমুক্ত করেন প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডাররা। তবে ফিরতি বলে টপ-ডি বক্স থেকে শট নেন আন্দ্রেই ক্যারিলো। গোলরক্ষক জাস্টো ভিলারের প্রাণপণে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল ধরতে পারেননি। ২০১২ সালের আগস্টের পর এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করলেন ক্যারিলো। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে জোয়েল সানচেজের বাড়ানো বলে প্যারাগুয়ের গোলরক্ষকের সামনে থেকে আলতো শটে লক্ষ্যভেদ করেন পেরুর ফরোয়ার্ড পাওলো গুয়েরেরো। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে এটি গুয়েরেরোর চতুর্থ গোল, যা এখন পর্যন্ত যুগ্মভাবে সর্বাধিক। বলিভিয়ান রেফারি রাউল অরোসকো খেলা শেষ হওয়ার বাঁশি বাজালে ২-০ গোলের তৃপ্তিকর ও সান্ত¡নার জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পেরু। এবারের আসরে প্যারাগুয়ে ছিল ‘বি’ গ্রুপে। সেখানে তারা আর্জেন্টিনার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে, জ্যামাইকাকে ১-০ গোলে হারায় এবং উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। সেখানে তারা টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। সেমিতে আর্জেন্টিনার কাছে ৬-১ গোলে হেরে যায় তারা।
×