ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতিতে ঘাট শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ৩ জুলাই ২০১৫

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতিতে ঘাট শ্রমিকরা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন চট্টগ্রামের মাঝির ঘাটের শ্রমিকরা। এ ধর্মঘটের কারণে বর্তমানে ১৬টি ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। আর পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে পণ্য সরবরাহ বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে এই ধর্মঘট শুরু করেন। সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ৯টার সময় মাঝির ঘাট এলাকায় প্রায় শতাধিক শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিভিন্ন ঘাটের মুখে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। ঘাট এলাকায় পণ্য বোঝাই শত শত ট্রলার-নৌকা অলস দাঁড়িয়ে আছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ‘গত পাঁচ বছর ধরে বেতন বাড়ানোর কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। আজ বাড়বে, কাল বাড়বে এমন আশা দিয়েই মালিক পক্ষ তাদের শোষণ করে যাচ্ছে।’ শ্রমিকরা জানান, প্রতি নব্বই কেজি ওজনের বস্তায় ১ টাকা ৫০ টাকা এবং প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় ১ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তারা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। ঘাটের ঠিকাদারদের কাছে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে এই দাবি করে আসছিল। দাবি মেনে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর গড়িমসির কারণে তারা বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছেন। লাইটারেজ জাহাজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই কর্মকর্তা আর জানান, ‘মাঝির ঘাটে পণ্য খালাস না হলে স্থানীয়ভাবে পণ্য সরবরাহ বিঘিœত হবে। এখনও খোঁজ মেলেনি সাগরে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান ও পাইলটের স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙ্গর এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত যুদ্ধ বিমান এফ-৭ ও এর পাইলটের এখনও কোন খোঁজ মেলেনি। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের কারণে তা ধীরগতিতে চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সাগরের পরিস্থিতি আরও অস্বাভাবিক থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে বলে নৌবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার পতেঙ্গাস্থ বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে এফ-৭ জঙ্গী বিমান নিয়ে ফ্লাইট লে. তাহমিদ কাদের রুম্মান প্রশিক্ষণ উড্ডয়নে উড়াল দিলে এর ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি আচড়ে পড়ে বহির্নোঙ্গরের ব্র্যাভো পয়েন্টে। দুর্ঘটনার পর পরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিমানটির অবস্থান নির্ণয় করা যায়নি। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন পাইলট তাহমিদ। প্রতিদিন উদ্ধার অভিযান চলছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার এ অভিযান ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয় উত্তাল ঢেউয়ের কারণে। উদ্ধারকারী দলের একটি সূত্র জানায়, সাগর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানটির অবস্থান নির্ণয় করা সহজ হবে না। ব্র্যাভো পয়েন্টে এটি বিধ্বস্ত হলেও এরপর বিমানটি ঠিক জোয়ার ও ভাটার টানে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা নৌবাহিনীর সোনার সংবলিত জাহাজেও ধরা পড়ছে না।
×