ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি বিড়ম্বনা

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২ জুলাই ২০১৫

বরিশালে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি বিড়ম্বনা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সদ্য প্রকাশিত একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফলাফলে বিড়ম্বনায় পড়েছে বরিশালের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। ভর্তি হতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই দেখতে পায় যে কলেজে আবেদন করেনি কিংবা ৫ নাম্বার চয়েজে রেখেছে সেই কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে শিক্ষার্থীরা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সার্ভার ত্রুটির কারণেও এখনও ফলাফল তুলতে না পারায় ভর্তি নিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বরিশাল শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের অধীনস্থ ৩৩৫ কলেজে মোট আসন সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৫টি। এ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে মাত্র ৫৮ হাজার ৫৯৩ জন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কমসংখ্যক শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করার পরও তারা কাক্সিক্ষত কলেজে ভর্তির হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েও অসংখ্য শিক্ষার্থীরা তাদের কাক্সিক্ষত কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেও ৩.৮৩ পেয়েও অনেক শিক্ষার্থীরা ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সুমন নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি ৪.৭০ পাওয়ার পর অমৃত লাল দে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনে প্রথম চয়েজ দিয়েছিলাম। প্রকাশিত ফলাফলে সেখানে আমার ভর্তির সুযোগ না হলেও এক ছাত্র ৩.৮৩ পেয়েও ওই কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। গৌরনদীর রিয়াজ প্যাদা নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, সে প্রথম চারটি চয়েজে গৌরনদীর বিভিন্ন কলেজ ও পঞ্চম চয়েজে আগৈলঝাড়া কলেজের নাম উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে প্রকাশিত ফলাফলে তার ভর্তির সুযোগ হয়েছে আগৈলঝাড়া কলেজে। গৌরনদী উপজেলায় ছেড়ে এখন সে আগৈলঝাড়ায় ভর্তি হবেন না বলেও উল্লেখ করেন। জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রী মুনমুন আহমেদ শাকিলা বলেন, সে প্রথম চয়েজে অমৃত লাল দে কলেজে ভর্তি হওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে তার ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়েছে পঞ্চম চয়েজের স্থানীয় পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজে। আপেক্ষ করে ওই ছাত্রী আরও বলেন, ভাল ফলাফল করেও পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে না পারলে প্রয়োজনে পড়াশুনাই ছেড়ে দেব। বরিশাল ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন উল ইসলাম হাবুল জানান, বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা তার কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনে প্রথম চয়েজ করলেও তারা কেউই ভর্তির সুযোগ পায়নি। শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, তারা ভর্তি সুযোগ পেয়েছে এ. করিম আইডিয়াল কলেজসহ অন্য সব কলেজে। অথচ শিক্ষার্থীরা ওইসব কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদনই করেননি। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক লিয়াকত হোসেন বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ায় কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলে দেয়া হয়েছে তাদের নিয়মে ভর্তির কার্যক্রম চালাতে। এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী আজ ২ জুলাই পর্যন্ত ভর্তির কার্যক্রম চলবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হয়েছে। না’গঞ্জে ১৮৫০ আসনের ফল আসেনি নিজস্ব সংবাদদাতা সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, কলেজে ২৮৫০ আসনের বিপরীতে ১৮৫০টি আসনের ছাত্রের ভর্তির ফল গত তিন দিনেও আসেনি। রবিবার রাতে অনলাইনে ফলাফল প্রকাশের তিন দিনেও কলেজে রেজাল্ট না আসায় এবং অনলাইনে শূন্য দেখানোয় ওই কলেজে ছাত্র ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ কলেজে ছাত্রদের ১৮৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৬৮৯৪টি। কিন্তু এই কলেজে মেয়েদের ১ হাজার আসনের ফল আসলেও ছেলেদের ১৮৫০ আসনের বিপরীতে কোন ফল গত তিনদিনেও আসেনি। এতে ওই কলেজে বিপুল সংখ্যক আসন শূন্য দেখাচ্ছে।
×