ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লভ্যাংশ নিয়ে অসন্তোষ বিআইডব্লিউটিসিতে

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২ জুলাই ২০১৫

লভ্যাংশ নিয়ে অসন্তোষ বিআইডব্লিউটিসিতে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ বিশেষ ভাতা বা লভ্যাংশ নিয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করেছে বিআইডব্লিউটিসিতে। ভাতা না পেলে ঈদের আগে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি এবং পাটুরিয়া-দৌলদিয়াসহ সারা দেশের বিআইডব্লিউটিসি ফেরি সার্ভিস একযোগে বন্ধ করে দেবার হুমকি দেয়া হয়েছে। বুধবার বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (সরকার দলীয়) ও বিআইডব্লিউটিসির অফিসার্স এসোসিয়েশনের এক যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানকে সিদ্ধান্তটি অবগত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ গত বছর হতে লভাংশের ওপর বিশেষ সম্মানী ভাতা প্রদান চালু করে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিআইডব্লিউটিসি ৫৪ কোটি টাকা লাভ করে। লভাংশ পাওয়ায় কর্ম উদ্যোমের কারণে ২০১৩-১৪ অর্থবছর বিআইডব্লিউটিসি ৫৭ কোটি টাকা লাভ করে। বিদায়ী বছরের অবস্থাও ভাল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে লভ্যাংশ দিতে গড়িমসি চলছে। অধিক মুনাফার পরেও কর্তৃপক্ষের এরকম সিদ্ধান্তে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি সেক্টরে কর্মরতদের মাঝে এই অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বিআইডব্লিউটিসির ওয়ার্কাস ইউনিয়নের (সরকার দলীয়) সভাপতি মোঃ মহসিন ভূইয়া বলেন, আমরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিয়ে ফেরি সেক্টরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। গত বছর কর্তৃপক্ষ খুশি হয়ে আমাদের লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এতে কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিআইডব্লিউটিসিকে অধিক লাভজন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বছর আমাদের লভ্যাংশ দিতে গড়িমসি করছে। টেকনাফ স্থলবন্দরে ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া, ১ জুলাই ॥ বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সঙ্গে পণ্য আমদানি ও রফতানিতে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬০ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৫ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যা অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭৫ টাকা অতিরিক্ত আয় হয়েছে। এ অর্থবছরে এনবিআর কর্তৃক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধার ছিল ৪৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কাস্টসম সূত্র জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের জুন মাসে ১৬৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৯১৪ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এতে আমদানি হয়েছে ২০ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৩২৪ টাকার পণ্য। মিয়ানমারে রফতানি হয়েছে ৫৩টি বিল অব এক্সর্পোট’র বিপরিতে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৯৪২ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, শুল্ক স্টেশনে পণ্য আমদানি বাড়লে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পায়।
×