ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১ জুলাই ২০১৫

পুঁজিবাজারে প্রায় ৬শ’ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসে সূচকের বড় ধরনের উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পালেও নতুন করে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। আগামী অর্থবছরে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আরও বাড়বে এমন আশাবাদে মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সোমবারের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেন বাড়ার এ হার ৩৭.৮৫ শতাংশ। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম দিনে ডিএসইতে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকেই লেনদেনের গতিতে ছন্দপতন ঘটে। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে লেনদেন। ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে ডিএসইর দৈনিক লেনদেন। গত কয়েকদিন ধরে লেনদেনে কিছুটা গতির সঞ্চার ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় লেনদেন ৬০০ কোটি টাকার কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছে। রমজানে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১ ঘণ্টা কম লেনদেন হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ৪ ঘণ্টার লেনদেনেও ৩০০ কোটি টাকার কম লেনদেনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। সেখানে ৩ ঘণ্টায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লেনদেনকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে লেনদেনের পাশাপাশি সূচক বৃদ্ধির ধারাও অব্যাহত রয়েছে। সোমবারের তুলনায় ৫১.১২ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৫৮৩.১০ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সূচক বেড়েছিল ২৯.৭৬ পয়েন্ট। এর ফলে চলতি সপ্তাহের ৩ দিনই সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতা দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। দিনটিতে ডিএসইতে হাত বদলে অংশ নেয়া ৬৮ শতাংশেরও বেশি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। ৩১৯টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৬৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর। এদিকে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রিটিশ-আমেরিকান ট্যোবাকো। দিনশেষে কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৬১ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইউনাইটেড এয়ার, স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, এএফসি এগ্রোবায়োটেক, বেক্সিমকো, তসরিফা, এ্যাপলো ইস্পাত। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : তসরিফা ইন্ড্রাস্টিজ, ওলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইউনাইটেড এয়ার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল পলিমার, খান ব্রাদাস পিপি ওভেন ব্যাগ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, মালেক স্পিনিং ও ন্যাশনাল টিউবস। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফিক্সড ইনকাম মিউচুয়াল ফান্ড, সালভো কেমিক্যাল, স্টাইল ক্রাফট, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, ইমাম বাটন, মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স, ডিবিএইচ ও মুন্নু সিরামিক। দেশের অপর পুঁজিবাজারেও সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে। সকালে ইতিবাচকভাবে লেনদেন শুরুর পরে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ১০৮.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৫৮৫.৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টির, কমেছে ৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড এয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, তসরিফা ইন্ড্রাস্টিজ, সাইফ পাওয়ার, ফ্যামিলি টেক্স, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড ও আরডি ফুডস।
×