ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

লতিফ সিদ্দিকীর চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগদানে বাধা নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১ জুলাই ২০১৫

লতিফ সিদ্দিকীর চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগদানে বাধা নেই

সংসদ রিপোর্টার ॥ সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ হিসেবে তাঁর পূর্বের অবস্থান বহাল রয়েছে। দীর্ঘ সাত মাস ৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত লতিফ সিদ্দিকীর চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে কোন বাধা নেই। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও জানিয়েছেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখনও তাঁর কাছে আগের পরিচয়েই (এমপি) রয়েছেন। নানা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত হলেও সংসদ সদস্য পদ নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি। আওয়ামী লীগের হাতেই ঝুলে রয়েছে তাঁর ভাগ্য। দলের এই সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতার সংসদ সদস্য পদ খারিজ চেয়ে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন পত্র দেয়া হয়নি স্পীকারের কাছে। যে কারণে তাঁকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসানও হচ্ছে না। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু না জানালে সংসদ সচিবালয়েরও করার কিছুই নেই, তা অনেকটা স্পষ্টভাবেই বলেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশন শেষে তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্পীকার বলেন, আমার কাছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন চিঠি আসেনি। চিঠি পেলে আমি নির্বাচন কমিশনে পাঠাব। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদ সচিবালয়ে জানানোর পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ফলে তিনি (লতিফ সিদ্দিকী) এখনও আমার কাছে পূর্বের পরিচয়েই আছেন। তবে লতিফ সিদ্দিকীর অধিবেশনে যোগদানের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও স্পীকার জানান, সংসদে ট্রেজারি বেঞ্চের ১৪ নম্বর আসনটি লতিফ সিদ্দিকীর। এখনও অপরিবর্তিত রয়ে গেছে অধিবেশন কক্ষে তাঁর বসার আসনটি। সংসদ সচিবালয়ের আইন কর্মকর্তারা বলছেন, আইনি ব্যাখ্যায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকায় চলতি অধিবেশনে তাঁর যোগ দিতে আইনী কোন বাধা নেই। কারণ সংসদ সদস্য পদ শূন্য প্রসঙ্গে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি উক্ত দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে।” এ অনুচ্ছেদে দল থেকে বহিষ্কার করলে কী হবে তা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। ফলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি পদে বহাল রয়েছেন।
×