ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারীতে ১ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত

উজানের ঢলে তিস্তা বিপদসীমায়

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৩০ জুন ২০১৫

উজানের ঢলে তিস্তা বিপদসীমায়

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তিস্তার বন্যায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমু-া, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র্র সূত্রমতে তিস্তা অববাহিকার ডালিয়া পয়েন্ট ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও উজানের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তায় বন্যা দেখা দিয়েছে, যা সোমবার সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকাল ৩টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি কমে আসে। সূত্রমতে, এর আগে গত ১৩ জুন থেকে টানা ১৫ জুন পর্যন্ত বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর তা নেমে যায়। এরপর ১৯ জুন তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তাবেষ্টিত গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। ঘরবাড়িতে হাঁটু পানি উঠেছে। খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হুদা জানান, পূর্ববাইশপুকুর গ্রামটি তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে হওয়ায় সেখানকার ঘরবাড়িগুলোর ওপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ছোটখাতা, বানপাড়া দুইটি গ্রাম বানের পানিতে তলিতে রয়েছে। জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, হলদিবাড়ি, গোপালঝাড়-আলসিয়াপাড়া এলাকায় বন্যার পানির স্রোতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
×