ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৩০ জুন ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

স্মরণ করতে পারি না নিকট অতীতে ঢাকার আষাঢ় কবে এমন লাগাতার সক্রিয় ছিল। আজ ঢাকার আকাশে আবার যখন রাজ্যপাট জাগিয়ে তুলেছে সূর্য, চারদিক গরমে তেঁতে উঠছে আর রোজাদাররা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন পনের ঘণ্টারও বেশি পানাহার থেকে বিরত থাকার স্বরূপ- তখন আমাদের খানিকটা অবিশ্বাসই হতে চায় যে গত সপ্তাহেই ঢাকাবাসীর দিনের পর দিন গেছে বৃষ্টির কব্জায়; রোদের দেখা মেলেনি। ঢাকায় একবেলা বৃষ্টি হলে ঢাকা কতখানি বেসামাল বিপন্ন হয়ে ওঠে তার অভিজ্ঞতা আমাদের কম নয়। তাই দিনের পর দিন নানা তালের নানা ছন্দের লঘুগুরু বৃষ্টিপাত- তাতে রাজধানী অভিধা পাওয়া ঢাকা নামক এই মহাপল্লীটির কী যে নাকাল করুণ দশা, অনেক কাল পর আবার আমাদের প্রত্যক্ষ করতে হলো। শুধু কি প্রত্যক্ষ! আমাদের হাড়ে-মাংসে মনেপ্রাণে পুরোদস্তুর বুঝিয়ে দিয়ে গেল। শুক্রবার জনকণ্ঠের এ সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনাম ছিল- ‘বৃষ্টি জলাবদ্ধতা ও যানজটে স্তব্ধ হয়ে গেছে রাজধানী’। ‘জলজট যানজটে চরম দুর্ভোগ’- আরেকটি দৈনিকের সেদিনের সংবাদ শিরোনাম। স্তব্ধতার সমার্থক শব্দ হিসেবে ‘অচলাবস্থা’ শব্দটির প্রয়োগ করেছে আরেকটি সংবাদপত্র। ‘বিপর্যস্ত’ শব্দটি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। জলাবদ্ধতা কত প্রকার এবং কী কীÑ এ নিয়ে এখন এ প্লাস মার্কস পাওয়ার মতো রচনা লিখতে পারবে ক্লাসের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীও। যানজট নিয়ে কথা বলতে বলতে এখন এই প্রসঙ্গটিকে বিষম ক্লিশে বলেই মনে হয়; ঢাকাবাসীর নিত্যদিনের দু-চার ঘণ্টা কেড়ে নেয় যে ছিনতাইকারী তার নাম যানজট। জলজট সম্বন্ধেও মহানগরীর বাসিন্দাদের স্বচ্ছ ধারণা আছে, ভোগান্তির খতিয়ান বড্ড ভারি, তার ভেতর যানজট জলজট সংযোগ হয়ে ‘জানজট’ লাগার বেহাল পরিস্থিতি সম্বন্ধেও উত্তম জ্ঞানার্জিত হলো গত সপ্তাহে। তার দু-চারটে উদাহরণ না দিলে চলে না। তবে এসবের মাঝেও স্থান-কাল-পাত্র বিচারে বর্ষাও যে বিপন্নতার সমান্তরালে উৎপন্নতার উপলক্ষ হতে পারে; ভোগান্তির পাশাপাশি উপভোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে সেই সত্য উচ্চারণ না করলে ঘোর পক্ষপাতিত্ব হবে। তাই নিবেদন করি সামান্য তার বয়ান। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মোটরগাড়ির আরামপ্রদ সিটে হেলান দিয়ে রাজধানীর অন্যতম প্রধান সড়কের দু’পাশে হাঁটু ডোবানো জলধারায় ঢেউ ওঠা দেখলে স্মৃতিকাতর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আর ভর সন্ধেবেলা টিভি চ্যানেলগুলো লাইভ বর্ষাবন্দনায় মেতেছে। তাতে ঘুরেফিরে বাংলার বর্ষার বিখ্যাত রূপের বর্ণনা, বাঙালীর উদাস হয়ে পড়াসহ বিচিত্র অনুভূতির বিবরণ কথা-কবিতা-গানে উপস্থাপনের চৌকস কৌশল আমাদের মনে করিয়ে দেয় একঘেয়ে নগরজীবনেও বর্ষা আসে দাপটের সঙ্গে, আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা গ্রামের দিনগুলোয়, শিক্ষিত নাগরিক মন সান্ত¡নার সন্ধান করে সাহিত্যে, সঙ্গীতে। দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীগুলো উপচেপড়ে বর্ষা বিষয়ক পঙ্ক্তিমালায়। অন্যদিকে নগরীর অসুস্থ সড়কসমূহের চোরা খানাখন্দে উন্মুক্ত ম্যানহোলে রিক্সার চাকা আটকে গিয়ে দুর্গন্ধময় নোংরা পানিতে হাবুডুবু খায় সন্তানের সঙ্গে তার জননী। আলোকচিত্রীর ক্যামেরা ক্লিক করতে দেরি করে না। একহাতে জুতোজোড়া এবং অন্য হাতে উঁচানো ছাতির বাট ধরে সন্তর্পণে ফুটপাথ ঘেঁষে যে-পথচারী হাঁটছিলেন তার সঙ্গে নির্মম রসিকতায় মাতে হঠাৎ পথের একপাশের খানিকটা ফাঁকা পেয়ে জোর গতিতে গাড়ি হাঁকিয়ে দেয়া ফুরফুরে চালক। বেচারা পথচারীর জামাকাপড় জলকাদায় মাখামাখি। রমজান মাসের দিনগুলো একে একে ফুরিয়ে যাচ্ছে, পোশাক-আশাকসহ অন্যান্য ঈদসামগ্রী সাজিয়ে বসা শপিংমলের দোকানিদের মন খারাপ। এই বিরূপ প্রকৃতি উজয়ে চটজলদি ঈদের কেনাকাটা সারার তেমন তাড়া নেই। সবার মনোভাব এমনÑ বৃষ্টি আর ক’দিন। ঝলমলে রোদ উঠলেই যাওয়া যাবে ঈদের বাজারে। কিন্তু অফিস তো আর কামাই দেয়া চলে না দিনের পর দিন। ভিড়েঠাসা বাসে টুপটুপ জলঝরা ছাতি নিয়ে যে অফিসযাত্রী ভিড় ঠেলে উঠতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবছিলেন, তিনিই আবার ভাগ্যকে দুষলেন জানালার কার্নিশে ভিজে ছাতি ফেলে আসায়। বাস থেকে নেমে অফিস পর্যন্ত কাকভেজা হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় কী! ছাতির কথা যখন উঠল তখন বলা যায় ঢাকার বাজারে এখন বেশ কদর ও চাহিদা চীনে তৈরি ছাতির। চীনারা জানে তৃতীয় বিশ্বে কিভাবে ব্যবসা করতে হয়। এই আষাঢ়ে আবার রাজধানীর সড়কে কারও হাঁক শোনা যায়Ñ ছাতি সারাবেন, ছাতি? নগরবাসীর কাছে রাস্তাঘাট সারানোর বিষয়টিই এই বর্ষায় বড় দাবি হয়ে উঠেছে। তবে বিলক্ষণ তা বর্ষাকালেই নয়, শুকনো সময়ে। অথচ কী এক অজ্ঞাত তাগিদে বর্ষাকালেই রাস্তাঘাটে চলে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি! দু’জন নবাগত মেয়র ঢাকাবাসীর দুর্দশা দুর্ভোগ লাঘবে কী উদ্যোগ নেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ। শাপলা কদম কামিনী গন্ধরাজ বর্ষার শুরুর আগেই ঢাকার সড়কের পাশে কদম গাছে সপ্তর্ষীম-লের মতো কদম ফুলের ফুটে থাকার কথা বলেছিলাম। এখন মাঝ-আষাঢ়ে রূপসী কদম এগিয়ে গেছে সহস্র কদম; রাজধানীজুড়ে তার বিজয়নিশান। তবে বর্ষাকালে আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর অঝোর বর্ষণে কদমের পাশাপাশি প্রাণ সঞ্চার হয় যেসব ফুলে এবং তার রং এসে লেগে আমাদের মৃতপ্রায় প্রাণে নবজীবনের বার্তা এসে পৌঁছোয় এমন কিছু সুরভিত সুদর্শনা ফুলও রয়েছে। যেমন দোলনচাঁপা, টগর, কামিনী, গন্ধরাজ, কলাবতী, দোপাটি। আকাশ থেকে আশীর্বাদের মতো নেমে আসা বৃষ্টি এসব ফুলের পাপড়ি বেয়ে নেমে আসে মাটিতে, বলা ভাল নগরীর ইট-পাথরে-সিমেন্টে। সেই বৃষ্টির পানিতে মিশে থাকে ফুলের সুবাস। কদম নাকি আমাদের নয়, এই গাছের আদি নিবাস চীনে। আরেকটি ব্যাপার জানা ছিল নাÑ কদম নাকি একটিমাত্র ফুল নয়, কদমের মাংসল পুষ্পাধারে অজস্র ফুলের বিন্যাস থাকে। কদম গাছের পাতা বেশি হলেও পাতার ফাঁকে উজ্জ্বল আর্কষণীয় কদমফুল দূর থেকে চোখে পড়ে। অলকানন্দ গুল্ম জাতীয় ফুলগাছ। এই ফুলের নিবাস ব্রাজিলে। ফুলটি দেখতে ঠিক ঘণ্টার মতো। আর এ কারণেই এই ফুলকে আমরা বলি ‘ঘণ্টাফুল’। বর্ষা এলেই ফুলে ফুলে ভরে যায় গাছ। জাতভেদে ফুলের রঙ সোনালি, হলুদ, লালি এবং গোলাপীও হয়ে থাকে। আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা বর্ষার অন্যতম আকর্ষণ। এ সময় বিল, পুকুর ও পতিত জলাধারে পানি জমে। সেই পানিতে শাপলা জন্মে। বাংলাদেশে সাদা, গাঢ় লাল, নীল ও গোলাপী রঙের শাপলা দেখা যায়। যদি চোখ খোলা থাকে তবে এই ঢাকাতেও দর্শন মিলবে বাহারি শাপলার। রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযান রমজার এলে রাজধানীতে খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার হতে দেখি আমরা। আমরা সচকিত হই এমন সংবাদ জেনে যে, রাজধানীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভেজাল সেমাই। ঈদে সেমাইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকে। মুনাফা করার এই তো মৌসুম। ব্যবসায়ীরা মুনাফা করুক আসল সেমাই দিয়ে এমনটাই চান ক্রেতারা। তবে সেটি যেন অতিমুনাফা না হয়, শরীরের জন্য ক্ষতিকর ভেজাল সেমাই যেন না হয়। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কারও কারও মনের ভেতরে থাকে অশুভ ভাবনা। প্রতিবছরই অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সংবাদকর্মীরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন বিভিন্ন বাসাবাড়ির ছাদে, খোলা জায়গায় শুকাতে দেয়া হয়েছে সেমাই। সেমাইয়ের মধ্যে পাখি বিষ্ঠা ত্যাগ করছে। এছাড়া ধুলাবালি আর বিড়ালের অত্যাচার তো আছেই। পুরনো ঢাকার লালবাগ, হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সেমাই কারখানা গড়ে উঠলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে কদমতলী, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মিরপুরসহ আনাচে-কানাচে। ফি বছরই পোড়া মবিলে ভাজা হয়ে থাকে লাচ্ছা সেমাই। এদিকে যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা এসব অপরিচ্ছন্ন সেমাই তৈরির কারখানার কারণে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রাজধানীর স্বাস্থ্যসম্মত সেমাই তৈরির কারখানাগুলো। ভেজাল রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে কাজ করছে। কিছু কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করলেও বহু ভেজাল সেমাই তৈরির কারখানা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চিকিৎসকরা সাবধান করে দিয়েছেন, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হওয়া সেমাই খেয়ে বমি, আমাশয়, জন্ডিস, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। এছাড়া পাখির মাধ্যমে বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সেহরি ও ইফতারে আম-কাঁঠালের সঙ্গে আরব দেশের খেজুর ডাক্তার ও পুষ্টিবিদরা ইফতারি আইটেমে অন্তত একটি ফল রাখার কথা বলে থাকেন। বাঙালী ফল অপছন্দ করে না, কিন্তু ফলের সঙ্গে ফরমালিন শব্দটার এত বেশি প্রয়োগ হয়েছে যে সচেতন ব্যক্তিরা কোন ফল কেনার আগে বার বার ভাবেন। তাছাড়া ফলের দামও কিছুটা বাড়তিই থাকে সব রমজানে। এবার কি একটু ব্যতিক্রম? ভরা ফলের মৌসুমে রোজা পড়ায় দেশী ফল খাওয়ার বড় সুযোগ এসেছে। এবার আমের ফলন প্রচুর হওয়ায় দামেও শস্তায় মিলছে এই রসাল ফলটি। রোজার সময় অলি-গলিতে ইফতারির খাবার বিক্রি হয়। বহু মৌসুমি বিক্রেতা পাওয়া যায় এ সময়। এবার ব্যাপকহারে না হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলের দোকানও বসছে এখানে-সেখানে। আর ফলের দোকানগুলো উপচে পড়ছে দেশী ফলে। এসব ফলের ভেতর রয়েছে : আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, জামরুল, মৌসুমি আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি। রোজায় বেশ গরমও অনুভূত হচ্ছে এবার। ফলে এসব ফলের পর্যাপ্ত যোগান মানুষের জন্য আশীর্বাদই হয়ে উঠেছে। পবিত্র রমজানে বাঙালীর মুড়ি না হলে কি চলে? খেজুরের চাহিদাও বেড়ে যায় রমজানে। রোজার সময় আমাদের দেশে কত রকমের খেজুর যে আসে আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে তার ইয়ত্তা নেই। মোটামুটি শস্তা দামের খেজুরও আছে। আবার ৫০০ টাকার একখানা নোট দিয়ে কেনা প্যাকেট খুলে ৫০ খানা খেজুরও মেলে না। মিষ্টি এ ফলটি পুষ্টিগুণে অনন্য। রোজাদারদের জন্য বড়ই উপকারী। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও খেজুর খেতে পারেন। নিউট্রিশন জার্নাল দারুণ সব তথ্য দিয়েছে। পাঠকের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাক। অত্যন্ত মিষ্টি ও উচ্চ শর্করাযুক্ত ফল বলে সাধারণত ডায়াবেটিক ও ওজনাধিক্য রোগীদের বেশি খেজুর খেতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু খেজুর খেলে কতটা শর্করা বাড়ে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। উচ্চমাত্রার শর্করা থাকা সত্ত্বেও প্রচুর আঁশের কারণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) তত বেশি নয়। খেজুরের ধরন ভেদে জিআই ৪৬ থেকে ৫৫-এর মধ্যে ওঠানামা করে, যা ডায়াবেটিক রোগীর জন্য নিরাপদ। একটি খেজুরে ৪৪ থেকে ৮৮ শতাংশই সহজ শর্করা বা চিনি। এই চিনি ফ্রুক্টোজ হিসেবে থাকে, যা গ্লুকোজের চেয়েও মিষ্টি। একটি খেজুর থেকে ২৩ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে। খেজুরের ভাল দিক হলো যে এতে কোলেস্টেরল, সম্পৃক্ত চর্বি প্রায় নেই বললেই চলে; বরং আঁশের পরিমাণ সন্তোষজনক। এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম। রমজান মাসে একজন ডায়াবেটিক রোগী সর্বোচ্চ দুটি খেজুর খেতে পারেন। লালবাগ কেল্লার দেয়াল ভেঙ্গে... মসজিদের শহর বলে পরিচিত ঢাকা কালে কালে হয়ে উঠেছে রিক্সার শহর। বিশ্বের প্রতিটি শহরেরই শনাক্তযোগ্য প্রাচীন স্থাপনা থাকে যা ঐতিহ্যের অংশে পরিণত। ঢাকার আছে তেমনি লালবাগের কেল্লা। মুঘল আমলের ঐতিহাসিক স্থাপনা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন এই লালবাগ কেল্লার মজবুত দেয়ালের এক অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয় গত সপ্তাহে গাড়ি পার্কিং নির্মাণের কারণ দেখিয়ে। এর উদ্যোক্তা খোদ প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর। মূল নক্সার পরিপন্থী ওই উদ্যোগটি সমালোচনার মুখে পড়ে, পরিবেশবাদীরা মানববন্ধন করেন। পরিবেশবাদী নেতারা বলছেন, এভাবে দেয়াল ভেঙ্গে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করে লালবাগ কেল্লার মতো পুরাকীর্তিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, যা ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইনের পরিপন্থী। পরে হাইকোর্ট লালবাগ কেল্লার দেয়াল ভেঙ্গে গাড়ি রাখার স্থান তৈরির কাজ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে লালবাগ কেল্লার কাস্টডিয়ান বলেন, ওই দেয়ালটি পুরাকীর্তির অংশ নয়। স্বাধীনতার পর তা তৈরি করা হয়েছে। তাই দেয়াল ভেঙ্গে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করে পুরাকীর্তি ধ্বংস করার কথাটি সত্য নয়। ২৯ জুন ২০১৫ [email protected]
×