ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

শিল্পকলায় নৃত্যাঞ্চলের কত্থক নৃত্যের নান্দনিক পরিবেশনা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৩০ জুন ২০১৫

শিল্পকলায় নৃত্যাঞ্চলের কত্থক নৃত্যের নান্দনিক পরিবেশনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শাস্ত্রীয় নাচের জনপ্রিয় এক ধারা হচ্ছে কত্থক। আর সেই কত্থক নাচের নান্দনিক উপস্থাপনার দেখা মিলল সোমবার। আষাঢ়ের সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে পরিবেশিত হলো নৃত্যাঞ্চলের মনমাতানো কত্থক নাচ। ভারতীয় প্রখ্যাত কত্থক নৃত্যশিল্পী মালতি শ্যামের কাছ থেকে তালিমপ্রাপ্ত নবীন নৃত্যশিল্পীরা নিজেদের মেলে ধরলেন উজাড় করে। বাদ্যের বোলের সঙ্গে পায়ের কারুকাজ আর অভিনয়যুক্ত অভিব্যক্তির সম্মিলনে দর্শকদের নয়নে ছড়িয়ে দিলেন প্রশান্তির পরশ। আয়োজনটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে মালতি শ্যাম পরিবেশিত অনবদ্য কত্থক নৃত্যে। আর তাই তো রমজানের মাঝেও নৃত্যানুরাগীদের সমাগমে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে মিলনায়তন। মনোমুগ্ধকর এই নৃত্যসন্ধ্যাটি উৎসর্গ করা হয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত নৃত্যগুরু প-িত বিরজু মহারাজকে। নৃত্যাঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেয়া এই বিশ্ববরেণ্য নৃত্যশিল্পীকে নিবেদন করে পরিবেশিত হয় প্রতিটি নৃত্য। শুধু তাই নয়, মঞ্চের ডানপাশে ছিল এই নৃত্যগুরুর প্রতিকৃতি। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে তাঁকে নিবেদন করা হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে। মালতি শ্যামের কাছে কত্থক নাচের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নৃত্যাঞ্চলের নৃত্যশিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয় সনদপত্র। তাঁদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন সংগঠনের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক ও শিল্পীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নৃত্যাঞ্চলের দুই পরিচালক জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পীযুগল শিবলী মুহম্মদ ও শামীম আরা নীপা। পরিবেশনা পর্বের সূচনা হয় গুরু বন্দনার মাধ্যমে। মঞ্চে আসে ঢাকার একঝাঁক উঠতি কত্থক নৃত্যশিল্পী। তবলার বোল আর ছন্দোময় সুরে সঙ্গে মেলে ধরেন কত্থক নাচের মাধুর্যময়তা। এরপর দর্শনার্থীদের চিত্তে মুগ্ধতার বীজ বুনে একে একে পরিবেশিত হয় পরিবেশিত কত্থকের নানা আঙ্গিক। নৃত্যাঞ্চলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী স্নাতা শাহরিন উপস্থাপন করেন মীরার ভজন। এছাড়াও কত্থনের নানা পদ্ধতির প্রয়োগে শিক্ষার্থী শিল্পীরা পরিবেশন করেন তারানা, তেহাই, টুকরাসহ নানা আঙ্গিক। ঘণ্টাব্যাপী এই নৃত্যসন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন মালতি শ্যাম। খ্যাতিমান এই শিল্পী উপস্থাপন তিনটি পরিবেশনা। প্রথমেই ‘আমি চঞ্চল হে আমি সুদূরের পিয়াসী’ গানের সুরে অপরূপ অঙ্গ সঞ্চালনার সঙ্গে অভিব্যক্তির মেলবন্ধনে মেলে ধরেন তাঁর বিভাময় নৃত্যশৈলী। এছাড়াও এই শিল্পী পরিবেশন করেন কত্থকের বিশেষ আঙ্গিক ভজন এবং বরের রূপ বর্ণনার প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত নাচ। জাতীয় জাদুঘরে জামদানি প্রদর্শনী ॥ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে আগামী বুধবার থেকে জাদুঘরে প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি প্রদর্শনী।
×