ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বপ্নদলের ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ কাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৯ জুন ২০১৫

স্বপ্নদলের ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ কাল

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ ঢাকার মঞ্চে অন্যতম নাট্যদল স্বপ্নদল। একের পর এক নান্দনিক এবং নিরীক্ষামূলক প্রযোজনা উপহার দিয়েছে দলটি। স্বপ্নদলের প্রতিটি প্রযোজনা দেশে এবং দেশের বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে তাদের নাটকের বিষয়বস্ত এবং নাট্য নির্মাণের আঙ্গিক বোদ্ধা দর্শকদেরও অনুপ্রাণীত করেছে। দেশে সফল মঞ্চায়নের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন স্থানে দলের একাধিক প্রযোজনা মঞ্চস্থ হওয়ার পর প্রশংসিত হয়েছে। দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে দলটি। স্বপ্নদলের যুদ্ধবিরোধী গবেষণাগার একটি প্রযোজনা ‘ত্রিংশ শতাব্দী’। সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় নয়াদিল্লীর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি)-তে আয়োজিত ভারতের জাতীয় নাট্যোৎসব ‘ভারত রঙ মহোৎসব-২০১৫’-এ নাটকটি মঞ্চায়ন করে এসেছে স্বপ্নদল। ভারত সফরের পর আবার ঢাকায় ‘ত্রিংশ শতাব্দী’নাটকটির মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। দল সূত্রে জানা গেছে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে এ নাটকের বিশেষ প্রদর্শনী হবে। এ দিন ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার ৭০তম মঞ্চায়ন অুনষ্ঠিত হবে বলে দল সুত্রে জানা গেছে। বাদল সরকারের মূল রচনা অবলম্বনে স্বপ্নদলের আলোচিত ও দর্শকনন্দিত ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার রূপান্তর করেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন জুয়েনা শবনম, ফজলে রাব্বী সুকর্ন, সামাদ ভূঞা, শিশির সিকদার, আমজাদ শরীফ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাধুরী বেপারী সুমি, জেবুন নেসা, সাইদুল ইসলাম, রেজাউল মাওলা, মেহেদী রানা, তানভীর শেখ, জাহিদ রিপন প্রমুখ। যুদ্ধোন্মাদনার বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদ ‘ত্রিংশ শতাব্দী’-নাটকের মূলকাহিনী পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জাপানের হিরোশিমা-নাগাসাকির আণবিক বোমা বিস্ফোরণের অনভিপ্রেত বিষাদময় পরিণতি। এর সমান্তরালে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বসনিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান-ভারত, ইরাকে আগ্রাসন, গাজা-কুয়েত-সিরিয়া-মিয়ানমারে সাম্প্রতিক বর্বরতা প্রভৃতি প্রসঙ্গ। ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনায় নানাবিধ দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধবাজ-যুদ্ধাপরাধী-অশান্তিকামীদের স্বরূপ এবং তাদের কর্মের তাৎক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী বীভৎসতার চিত্র উদ্ঘাটিত হয়েছে। সভ্যতা ধ্বংসকারী মানবসৃষ্ট যুদ্ধ-গণহত্যা-অনাচারের বিপরীতে মানুষ হিসেবে বর্তমান কর্তব্য অনুধাবন এবং এক্ষেত্রে দর্শককে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মুখোমুখি দাঁড় করানোই ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ প্রযোজনার অন্যতম বৈশিষ্ট।
×