ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চুপ্পু মনে করেন মায়ার মন্ত্রী থাকায় কোন বাধা নেই

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২৯ জুন ২০১৫

চুপ্পু মনে করেন মায়ার মন্ত্রী থাকায় কোন বাধা নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সংসদ সদস্য পদ থাকায় মন্ত্রিত্বেও আইনগত বাধা দেখছেন না দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তবে এটা তার ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির অন্যতম এ নির্বাহী। রবিবার দুপুরে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক)-এর নতুন কমিটির সঙ্গে সাক্ষাতকালে এক প্রশ্নের উত্তরে চুপ্পু এমন মন্তব্য করেন। দুদক কমিশনার মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন সেক্ষেত্রে বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না। গত ২২ জুন বুধবার মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ওই সময় দুদকের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, রায়ের পর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সংসদ সদস্য পদ থাকা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মায়ার সংসদ সদস্য পদে থাকার কোন বৈধতা নেই। দুদকের আইনজীবীর এমন বক্তব্যের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। তার বক্তব্যের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত নই। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিষয়টি এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। যতক্ষণ না বিষয়টি আদালতের রায়ে চূড়ান্ত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকতে আইনগত বাধা নেই। যদিও এটা কমিশনের বক্তব্য নয়। আমি আবারও বলছি এটা আমার বক্তব্য, বলেন তিনি। দুদক কমিশনার বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনা না করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যদি আদালত কমিশনের সিদ্ধান্ত যথাযথ না মনে করে তবে তাই হবে। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৩ জুন রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি করে দুদক। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয়ের বাইরে অবৈধভাবে ৬ কোটির বেশি টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের কারাদ-ে দ-িত হন মায়া। রায় ঘোষণার পর তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১০ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কেবলই আইনী প্রশ্নে ওই রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে মামলাটি হাইকোর্টে নতুন করে শুনানির আদেশ দেন আপীল বিভাগ। এরপর দুদকের বিরুদ্ধে আপীল করে। চলতি বছরের ১৪ জুন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ হাইকোর্টে রায় বাতিল করে আপীলের পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন। এরপর গত বুধবার আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এদিকে নির্বাচিত হওয়ার পর গত বুধবার দুদক চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামান এবং কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন র‌্যাকের নতুন কমিটির সদস্যরা। এ সময় র‌্যাকের সভাপতি মিজান মালিক, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সাগর, সহ-সভাপতি মতলু মল্লিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক আদিত্য আরাফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ ফয়েজ, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক এম এ রহমান মাসুম, দফতর সম্পাদক হাসিব বিন শহিদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম সামদানী, সদস্য সাঈদ আহমেদ, শারমিনা নীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×