ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টানা বর্ষণে থমকে গেছে চট্টগ্রামের জনজীবন, পানির নিচে সড়ক

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৭ জুন ২০১৫

টানা বর্ষণে থমকে গেছে চট্টগ্রামের জনজীবন,  পানির নিচে সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ৫ দিনের টানা বর্ষণে জনজীবন থমকে গেছে। নগর এবং নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলায়ও একই চিত্র। ভেসে গেছে ফসলের মাঠ, ডুবে গেছে সড়ক ও জনপদ। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। থেমে আছে অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য পরিবহন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের সাতকানিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে পানি বেশি হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মওসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। মওসুমী বায়ু আরও সক্রিয় হওয়ায় সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য ৩ নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত রয়েছে। তবে এ সতর্কতায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, একটানা বৃষ্টির কারণে বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং বন্ধ রয়েছে। তবে বার্থগুলোতে কন্টেনার ওঠানামা স্বাভাবিক আছে। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল ও চট্টগ্রাম বন্দর লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতি জানায়, ঝড়ো হাওয়া, কর্ণফুলীতে প্রবল স্র্রোত ও বৃষ্টিপাত বেশি থাকায় জাহাজের বুকিং নেই। ফলে অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য পরিবহণও একপ্রকার বন্ধ। চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই, রাজাখালি, খাতুনগঞ্জ, কাপাসগোলা, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, হালিশহর, ছোটপুল, সাগরিকা, আগ্রাবাদ সিডিএ, জুবিলী রোড, তিনপুলসহ অধিকাংশ এলাকার সড়কেই হাঁটু থেকে কোমর পানি। ফলে পথচারী ও যাত্রীসাধারণদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সড়কে লোকজন ছিল অপেক্ষাকৃত কম। সাতকানিয়া থেকে সংবাদদাতা জানান, অব্যাহত বর্ষণের কারণে উপজেলার বাজালিয়া, গড়দুয়ারা ও কলঘর এলাকায় সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মীরসরাই থেকে সংবাদদাতা জানান, উপজেলার সর্বত্র প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ। ভেঙ্গে যাওয়া নিজামপুর রেল স্টেশন সড়ক টানা বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে ভেঙ্গে গেছে। উপজেলার ওসমানপুর, ইছাখালী, কাটাছড়া, সাহেরখালী, ধূম মিঠানালা, ওয়াহেদপুর ও মঘাদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পাবিত হয়েছে। এছাড়া সীতাকু-, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, পটিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালিসহ বিভিন্ন উপজেলার চিত্রও একই। পানিতে থৈ থৈ করছে সর্বত্র।
×