ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২৬ জুন ২০১৫

 উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিছিল হচ্ছে নেত্রীর বিরুদ্ধে। দুই গালে জুতাপেটা করে সমান করে দেয়ার কথা বলছেন তারই দলের সমর্থকরা। যেন সামনে পেলে সত্যি সত্যি জুতা মেরে দেবে। সিরিয়াসলি অপমানও করতে পারেন। কিন্তু সেই নেত্রীই যদি ছুটে এসে বলেন- ওই আমি আসছি মার জুতা। তাহলে নিশ্চয়ই হতবাক হতে হয়। কী বলবেন কী করবেন প্রতিবাদকারীরা। শুধুই ভাবতে হবে রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স ঢুকলো কী করে! রাজনীতির রঙের দুনিয়াতে এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। সম্প্রতি নারায়গঞ্জ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মেয়রের বিরুদ্ধে মিছিল সেøাগান দিচ্ছিল নগর ভবনের সামনে। উত্তাল নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন। মাইকে তখন সেøাগান চলছেÑ আইভীর দুই গালে জুতা মার তালে তালে। হঠাৎ মাইকের সামনে এসে হাজির আইভী। বললেন, ‘এই যে আমি, সাহস থাকলে মার। আমাকে জুতা মারুন।’ ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক সকলে এ ওর দিকে তাকায়, ও আরেকজনের দিকে তাকায়। এরপর আইভী তেড়ে যান ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী ও যুবলীগ নেতা জানে আলমের দিকে। বললেন, ‘তোদের এখানে কী?’ তারা বলেন, আপনি আমাদের কুকুর বলেছেন। দুর্নীতি করছেন, আমরা তারই প্রতিবাদ করতেছি। যখন উত্তাল আন্দোলন চলছে হাসিমুখেই ফটোসেশন করছেন ... আইভী। বৃষ্টিকে ভিলেন বানাবেন না স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবছরই বর্ষা এলেই ভাঙ্গাচোরা সড়কের দায় তার ঘাড়েই তুলে দেয়া হয়। মাঝে মধ্যে যানজটের তীব্রতার দায়ও বৃষ্টিকে নিতে হয়। কিন্তু বৃষ্টিতো হবেই। বছরের নির্দিষ্ট মাসতো বর্ষাকাল হিসেবে ঠিক করা আছে। সেসব দিক বিবেচনায় নিয়ে বর্ষার আগেই আগাম ব্যবস্থা নিলে জনদুর্ভোগ কমানো সম্ভব। কিন্তু তা না করে বারবারই দায় চাপিয়ে দেয়া হয় বৃষ্টির ওপর। সম্প্রতি ঈদ প্রস্তুতি বৈঠকে গাজীপুর এবং টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা তাদের এলাকায় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য বৃষ্টিকেই দায়ী করলেন। এ সময় সড়ক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাবধান করে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বৃষ্টিকে ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধান করবেন নাÑ এমন কথা আর শুনব না। সারাবছর নাকে তেল দিয়ে ঘুমান। প্রতিবছর আশুলিয়া-বাইপাইল সড়কে যানজটের সমস্যা দেখা দেয়। আপনারা সারাবছর কী করেন। এ সময় হাইওয়ে ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগেই হাইওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে। চন্দ্রা-কালিয়াকৈর-বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট রোধে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। গার্মেন্টসের ভেতর থেকে শ্রমিকদের উঠিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। দুই কূল রক্ষায় স্টাফ রিপোর্টার ॥ এখন সরকারে দুই দলেই মন্ত্রী রয়েছেন। কোন অনুষ্ঠানে কয়েকজন সরকারী দলের মন্ত্রী থাকলে দুই একজন বিরোধী দলেরও থাকেন। বক্তব্যর শুরুতে এবং শেষে তাদেরও একইভাবে সরকারকে তুষ্ট করার একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। সম্প্রতি সেরকমই একটি বৈঠকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা উপস্থিত ছিলেন। অন্যসব মন্ত্রী যখন নিজেদের বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলছিলেন সেই রকমভাবে মশিউর রহমান রাঙ্গাও চেষ্টা করলেন। তবে রাঙ্গা তার সঙ্গে নিজের পার্টি প্রধানকে টেনে এনে উভয় কূল রক্ষার চেষ্টা করে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যখন জুড়ে দিলেন জয় এরশাদ, আর এরশাদ দীর্ঘজীবী হোকÑ তখন হাসি চেপে রাখতে পারলেন না উপস্থিত সকলে। ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, গার্মেন্টসগুলোতে সময়মতো বেতন পরিশোধ না হওয়ায় ঈদের আগে ছুটি নিয়ে ঝামেলা হয়। আশাকরি এবারের ঈদের আগে বেতন-ভাতা দেয়া হবে। ঢাকা সিটিকে কোন বাসস্ট্যান্ড না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানীতে লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি থাকবে না যদি দুই শতাংশ হারে ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করা হয়। মিস্টার কুল যখন হট স্টাফ রিপোর্টার ॥ এভাবে হারলে কার মাথা ঠিক থাকে। বিশ্বকাপের পর থেকে মুখিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কবে পাওয়া যাবে ভারতকে, কবে আসবে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার ধোনি বাহিনীর অনেকেই আগেভাগে আসতেও চায়নি। তাহলে কি আগে থেকেই টের পেয়েছিলÑ ‘গেলেই ধইরে দেবেনে’ মাশরাফি বাহিনী। তাই কি এই লুকোচুরি। যাব না যাব না, আসব না আসব না ভাব। কিন্তু ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু ঠিকই টের পেয়েছিল এবার আর হালকাভাবে প্রতিপক্ষকে নেয়ার সুযোগ নেই। ছেলেদের মধ্যে অহঙ্কার দানা বাঁধায় হয়ত তারা ভুল করছে। কিন্তু আমরা বুড়োরা তো আর ভুল করতে পারি না। শেষ পর্যন্ত পূর্ণশক্তির ভারত দলই এলো বাংলাদেশে। প্রথম দুই ম্যাচেই বাজেভাবে পরাজিত ভারত। এরপর টিপ্পনি এলে ভারতীয় অধিনায়ক মিস্টারকুল বলে খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনির কি আর মেজাজ ঠিক থাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে যখন আগ্রাসী মুস্তাফিজকে নিজের উইকেট উপহার দিয়ে চলে আসছিলেন তখন মাঠ দিয়ে ধোনিকে হেঁটে আসতে দেখে গলার শিরা ফাটিয়ে চিৎকার করছিল ‘মওকা, মওকা...’ বলে। শান্ত ভারত অধিনায়ক ওপরে তাকালেন একবার। হেসে হাত দিয়ে যেন বোঝাতে চাইলেন, আমি নই। ও সবের পেছনে আমি নই। এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে মিরপুর প্রেস কনফারেন্স রুম আর অভিমানের বহিঃপ্রকাশ। সাংবাদিকের এক প্রশ্নে তিনি মেজাজ হারালেন, বলে ফেললেন সরিয়ে দিন আমাকে। দেশের ক্রিকেটের তাতে ভাল হলে সরিয়ে দিন! এতবড় তারকার একি হাল দেখে যখন হাসছিলেন বাংলাদেশী সাংবাদিকরাÑ তখন ধোনি দেখিয়ে দিলেন আপনাদের প্রশ্ন শুনে এ দেশের সাংবাদিকরা কেমন হাস্যরস উপহার দিচ্ছেন। মিস্টারকুলকে কোনদিন কেউ নাকি এতটা তেতে যেতে দেখেন নাই।
×