ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী ইস্যুতেও জাতিসংঘে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল চীন

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ২৫ জুন ২০১৫

জঙ্গী ইস্যুতেও জাতিসংঘে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল চীন

সব সময়ের বন্ধু। চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে কূটনৈতিক শিবিরে কথাটা চালু রয়েছে অনেক দিন। তা ফের সত্যি প্রমাণ করে সন্ত্রাসবাদীকে মদদের প্রশ্নেও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল বেজিং। মুম্বাই হামলায় অভিযুক্ত জাকিউর রহমান লকভির জামিন নিয়ে জাতিসংঘে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল নয়াদিল্লী। বেজিংয়ের আপত্তিতে আপাতত থমকে গিয়েছে সেই উদ্যোগ। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফোনে চীনা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কড়া ভাষায় ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তাতে পরিস্থিতির বিশেষ কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে করছে না সাউথ ব্লক। মাস কয়েক আগে প্রমাণের অভাবে লকভিকে জেল থেকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারত। অভিযোগ জানানো হয়েছিল, জাতিসংঘের নিয়ম ভেঙ্গে চিহ্নিত জঙ্গী লকভিকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। কারণ, জাতিসংঘের ১২৬৭নং প্রস্তাবে ঘোষিত জঙ্গী ও জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞয়া জারি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য লকভির জামিনের অর্থ দেয়াও তাই জাতিসংঘের নিয়মবিরোধী বলে মত নয়াদিল্লীর। সূত্র : ওয়েবসাইট আইএসের উত্থানে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান বিশ্বের দেশগুলোতে গভীর উদ্বেগের সঞ্চার করেছে। এ সন্ত্রাসী দলটির বিরুদ্ধে আমেরিকার সামরিক অভিযানের প্রতি বিশ্বে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক নতুন সমীক্ষায় এ কথা বলা হয়। খবর ডন অনলাইনের। মঙ্গলবার প্রকাশিত ঐ সমীক্ষায় বলা হয়, বিশ্বের শতকরা ৬২ জন আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক ব্যবস্থা সমর্থন করে। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে বর্তমান মার্কিন অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমর্থন করে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বড় বড় দেশের জনগণ এটি অনুমোদন করে। কিন্তু বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ মার্কিন নীতির আরেকটি দিকের বিরোধিতা করছে। সেটি হলো ৯/১১-এর পর সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত নির্মম জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতি।
×