ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধনীদের ওপর নতুন কর আরোপের প্রস্তাব গ্রীসের

প্রকাশিত: ০৪:২১, ২৪ জুন ২০১৫

ধনীদের ওপর নতুন কর আরোপের প্রস্তাব গ্রীসের

ঋণ সঙ্কট মোকাবেলায় পেনশন ব্যবস্থা সংস্কার, মূল্য সহযোজন কর বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ী ও ধনীদের ওপর নতুন কর আরোপের পরিকল্পনাসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে গ্রীস। ইউরোজোনের নেতারা এই প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে আশা করছেন যে, এ সপ্তাহের মধ্যেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে। তবে প্রস্তাবটি নিয়ে খুব একটা আশা প্রকাশ করেনি জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল বলেছেন, গ্রীস সরকারের এই প্রস্তাবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আরও কাজ করতে হবে এবং হাতে সময় অনেক কম। খবর বিবিসির। চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই গ্রীসকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে নেয়া ১৬০ কোটি ইউরো ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আর এটি করতে ব্যর্থ হলে গ্রীসকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা গ্রীসের প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও বলেছেন, এটি আরও ভালভাবে পড়ে দেখা প্রয়োজন এবং এর ভিত্তিতে কোন চুক্তিতে পৌঁছা যাবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে কয়েক দিন লেগে যাবে। ইউরো গ্রুপের চেয়ারম্যান জেরন ডিসেলব্লুম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা আগামী কয়েকদিন বিষয়টি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করব এবং এ সপ্তাহেই গ্রীক সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছার চেষ্টা চালাব। তিনি গ্রীসের প্রস্তাবটিকে আলোচনা শুরুর একটি ভাল ভিত্তি বলে অভিহিত করেন। সোমবার গ্রীসের ঋণ চুক্তি নিয়ে ব্রাসেলসে ইউরোজোনের বৈঠকের আগেই পাঠানো হয় এই নতুন প্রস্তাবটি। যদিও ঋণদাতাদের দাবির তুলনায় এ প্রস্তাব তেমন বড় কিছু নয়। তারপরও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়োঙ্কার একে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত ও কার্যকর একটি প্রস্তাবনা চান বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এবং আরও কাজ করব। কিন্তু এ পুরো প্রস্তাবনার মধ্যে কী কী করা হবে আর কিভাবে করা হবে সেটি আরও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা দরকার। এখানে আলোচনার সুযোগ আছে, কিন্তু আমাদের দ্রুতই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। গ্রীস বলছে, এই প্রস্তাব উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক। ইইউয়ের সদরদফতরে ইউরোজোনের নেতাদের বৈঠকের আগে গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাাস ইতোমধ্যেই নতুন প্রস্তাব নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। এছাড়া তিনি গ্রীসের তিন আন্তর্জাতিক ঋণদাতা আইএমএফ, ইউরোপীয়ান কমিশন ও ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তবে এথেন্সে গ্রীক পার্লামেন্টের বাইরে কাটছাঁটবিরোধী আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে, সরকার যেন ইউরোজেনকে কোন রকম ছাড় না দেয়। বৈঠকের পর মেরকেল বলেছেন, আলোচনায় অংশ নেয়া প্রত্যেকেই চায় গ্রীস ইউরোজোনে থাকুক। একটি চুক্তি হওয়ার জন্য এ সপ্তাহে আরও কিছুটা সময় পাওয়া যাবে এবং চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য গ্রীস ছাড় দেয়ার চেষ্টা করছে, এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট হতে হবে।
×