ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৪ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

জঙ্গল সলিমপুরে পাহাড়খেকো ১৪ জুন থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান। কিন্তু নিরীহ মানুষকে যারা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করতে বাধ্য করছে, যারা পাহাড় কাটছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ? চট্টগ্রাম নগরীতে অবাধে পাহাড় কাটার পাশাপাশি জেলার সীতাকু- থানাধীন জঙ্গল সলিমপুরে অবস্থিত ছিন্নমূল বস্তিতে থাকা চট্টগ্রামের সব চেয়ে বড় পাহাড়টি কেটে সমতল করে এখন ওই এলাকার নাম দেয়া হয়েছে ছিন্নমূল আবাসন প্রকল্প। এখানকার প্রাচীনতম আরও কিছু পাহাড় কেটে চলেছে স্বঘোষিত ছিন্নমূল নেতা রোকন উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম গফুর, ডাকাত শাহ আলম। একই এলাকার লটকন শাহ এলাকার বিশাল পাহাড় কেটে সাবাড় করছে কথিত বিবিরহাট শাখার সভাপতি ভূমিদস্যু সাদেক এবং তার কর্মচারী হাবিব ও গফুর। অপরদিকে ছিন্নমূল বস্তির শেষ মাথায় আলীনগর শাখায় বিশাল-বিশাল পাহাড় রাতারাতি কেটে ফেলছে কথিত শাখার নেতা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, ডাকাত ইয়াছিন ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর প্রকাশ কল্লাকাটা জাহাঙ্গীর। হাতে গোনা কয়েক ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট স্থানীয় এমপি, চেয়ারম্যানের লোক পরিচয় দিয়ে এবং ছিন্নমূল বস্তিতে অবস্থিত পুলিশ বিটের ইনচার্জকে ম্যানেজ করে রাতারাতি কেটে ফেলা হচ্ছে এখানকার সুউচ্চ এসব পাহাড়। এছাড়া চক্রটি এখানকার অন্তত এক থেকে দেড় হাজার প্রাচীনতম বিশাল বিশাল গাছ কেটে কোটি কোটি টাকা পকেটস্থ করছে। শুধু তাই নয়, চক্রটি পাহাড়ে প্লটিং করে বিক্রির পর ওই ক্রেতাকে নিজস্ব উদ্যোগে পাহাড় কাটার তাগিদ দেয়। অন্যথায় প্লট হারানোর হুমকি দেয়। কিছুদিন পূর্বে চক্রটি কথিত হোল্ডিং নম্বর দেয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে। একইভাবে বর্তমানে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে প্রতিটি প্লট মালিক ও বসবাসরত বাসিন্দার কাছ থেকে। তাই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে উচ্ছেদ করার পাশাপাশি পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ছিন্নমূল বস্তিতে বসবাসকারীদের সন্ত্রাসী চক্রের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মোঃ নাছির উদ্দিন মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ আপনার বহুল প্রচারিত দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ২০ জুন শনিবার ২০১৫ থেকে ‘ঢাবিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ২০ আগস্ট’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতর কর্তৃক প্রেরিত ‘ঢাবি ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ’ শীর্ষক প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের বরাত দিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে তা সঠিক নয়। উল্লেখ্য, আইনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের যে কোন সম্পর্ক নেই এ বিষয়টি প্রতিবেদককে উপাচার্যের কাছ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। জনসংযোগ দফতর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজীর বটের তল রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হাজীর বটের তল। মরহুম হাজী সাহান উদ্দীনের হাজীর বটের তল চেনেন না এমন লোক খুব কমই আছে। ঐতিহ্যবাহী একটি স্থানের নাম হাজীর বটের তল। বিশেষ করে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের একটি অতি পরিচিত নাম হাজীর বটের তল। যেখানে বর্তমানে হাজী সাহান উদ্দীনের নাতি ইসমাইল হোসেন কর্তৃক নির্মিত একখানা ‘স্মৃতিফলক’ শোভা পাচ্ছে। মহাসড়কের পাশে হাজী সাহান উদ্দীনের বিশাল বটগাছের নিচে এক সময় পথযাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন। কালের আবর্তে সেই বটগাছ হারিয়ে গেছে। মোহাম্মদ ওয়াহেদুজ্জামান সরকার সৈয়দপুর, নীলফামারী
×