ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরের পাকুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, পত্রিকায় লিখলে কিছু যায় আসে না

কর্মসৃজন প্রকল্প নামে দরিদ্রদের বাস্তবে সুবিধাভোগীদের

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২৩ জুন ২০১৫

কর্মসৃজন প্রকল্প নামে দরিদ্রদের বাস্তবে সুবিধাভোগীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২২ জুন ॥ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে অতিদরিদ্রদের জন্য চল্লিশ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর নামমাত্র কাজ করে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকার বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের তালিকাভুক্ত উপকারভোগী অতিদরিদ্র শ্রমিকরা কাজের সুযোগ না পেলেও কাগজে-কলমে তাদের নামেই বিল করা হচ্ছে। আর এসব অনিয়মের সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ প্রকল্প মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ‘অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (দ্বিতীয় পর্যায়ে) প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৩১টি প্রকল্পের অনুকূলে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ২শ’ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে উপকারভোগী শ্রমিক দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯শ’ ৯৯ জন। নন ওয়েজ কস্ট বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭শ’ ৭৭ টাকা। এসব প্রকল্পের তালিকাভুক্ত শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো এবং প্রতিটি প্রকল্পে শ্রমিক সংখ্যা, বরাদ্দকৃত টাকা পরিমাণসহ প্রকল্পের পূর্ণ বিবরণ লিখে সাইন বোর্ড টাঙ্গানোর সরকারী নিয়ম থাকলেও বাস্তবে কোনটাই নেই। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, এটা কোন সরকারী সিদ্ধান্ত নয়, স্থানীয় সিদ্ধানতেই এভাবে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি প্রকল্পে যে পরিমাণ মাটি ধরা রয়েছে তা কাজ করা হয়েছে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে। এখানে তালিকাভুক্ত উপকারভোগী শ্রমিকের প্রয়োজন নেই। তাদের টাকা দেয়া হবে। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ৭নং চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছে আপনারা পত্রিকায় লেখেন, পত্রিকায় লেখলে কিছু যায় আসে না। এটা স্থানীয় সিদ্ধান্ত আর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
×