ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গুলশান লেকে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ॥ জড়িতদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৩ জুন ২০১৫

গুলশান লেকে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ॥ জড়িতদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুলশান লেকের অবৈধ মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি জ্যোতির্ময় নারায়ণ দেব (জেএনদেব) চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। এর আগে রবিবার হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর (এইচ আর পিবি) বাংলাদেশের পক্ষে এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান জামান হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন যে, জলধারার সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারায় নদ-নদী, খাল জলাধারার এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন এ বিধিনিষেধ আছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৯৯৫ অনুসারে জলধারা ভরাট বেআইনী। গুলশান লেক শাহজাদপুর এলাকায় লেকের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ ও ভরাটের সংবাদ মিডিয়ার প্রকাশিত হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে রাজউকের চেয়ারম্যান ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে কাউকে অনুমতি না দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, গুলশান থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
×