ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফার্নেস অয়েল না পৌঁছলে বন্ধ হতে পারে দোহাজারী বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র

বোয়ালখালীর খালে এখনও পড়ে আছে তেলবাহী ট্যাঙ্কার

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৩ জুন ২০১৫

বোয়ালখালীর খালে এখনও পড়ে আছে তেলবাহী ট্যাঙ্কার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২২ জুন ॥ রেলের চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে যাওয়া রেল ইঞ্জিনসহ ফার্নেস অয়েলবাহী দুটি ট্যাঙ্কার এখনও পড়ে আছে। দুর্ঘটনার চারদিনেও ব্রিজ মেরামত করে ফার্নেস অয়েলের ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে ব্রিজের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে ভেঙে যাওয়া ব্রিজের মেরামত কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে এতবড় দুর্ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। এটি যাত্রীবাহী ট্রেন হলে বহু লোক হতাহতের আশঙ্কা ছিল। দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর গত দু’দিন ধরে বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর এলাকার হারগেজি খালের ওপরে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলওয়ের ২৪ নম্বর ব্রিজটির মেরামত কাজ চলছে। রেলওয়ের শ্রমিক ছাড়াও প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুই শ’ শ্রমিক এ কাজে অংশ নিচ্ছে। আগামী বুধবারের মধ্যে ব্রিজ মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ আশা করছে। ব্রিজ মেরামতের পাশাপাশি খালের দু’পাড়ের খড় ও গাছ পালার সঙ্গে আটকে থাকা ফার্নেস অয়েল পরিষ্কার কাজও চলছে। এদিকে, আগামী এক সপ্তাহ কিংবা দশ দিনের মধ্যে দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে ফার্নেস অয়েল সরবরাহ না হলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সোমবার সরেজিমন ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনের বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা স্টেশনের হারগেজি খালের ওপর ভেঙে যাওয়া সাইরারপুলটি রেলওয়ে শ্রমিক ছাড়াও স্থানীয়রা দৈনিক বেতনে মেরামতের কাজ করছে। এলাকায় মাইকিং করে খালে পড়ে যাওয়া ফার্নেস অয়েল কেনার ঘোষণা দিলেও এতে স্থানীয়রা তেমন সাড়া দেয়নি। জোয়ারে হারগেজি খাল থেকে ফার্নেস অয়েল কর্ণফুলী নদী ও চানখালী খালে ঢুকে পড়েছে। তবে পটিয়া-বোয়ালখালী সীমান্তের মিলিটারিপুল এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ মেশিন ‘অয়েল বোম’ এর মাধ্যমে তেল সংগ্রহ করার কথা থাকলেও খালে পানির স্রোতের কারণে তা বসাতে পারেনি। এদিকে, বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর গ্রামের জামাল উদ্দিন ও নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০ জন শ্রমিক দৈনিক ৫শ’ টাকা বেতনে কাজ করছে বলে জানান। হারগেজি খালে এখনও ফার্নেস অয়েল ভাসলেও কেউ সংগ্রহ করছে না বলে জানান। এদিকে, দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং প্ল্যান্টের জিএম আরিফুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, তাদের বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে বর্তমানে ১০ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুদ রয়েছে। তবে তা নির্ভর করছে উৎপাদনের ওপর। মজুদকৃত এই তেল শেষ হলে বিদ্যুত উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে তিনি আশা করছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে পুনরায় ট্রেন চলাচল সচল হয়ে বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে পুনরায় ফার্নেস অয়েল পৌঁছে যাবে।
×